ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কালকিনিতে ভারী বর্ষনে কৃষক বাবুলের স্বপ্ন শেষ

প্রকাশিত: ০০:৪১, ২২ অক্টোবর ২০১৭

কালকিনিতে ভারী বর্ষনে কৃষক বাবুলের স্বপ্ন শেষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর ॥ কৃষক মোঃ বাবুল ফকির, বাড়ির বসত ঘরটির বেহাল দশা। তার পরিবারে রয়েছে ৮জন সদস্য। সবার মুখে দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে প্রায় ৩মাস আগে এনজিও থেকে ঋন নিয়ে তার জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করেছিলেন। সেখানে তার আপ্রান প্রচেষ্টায় সবজির ফসল ভালোই হয়েছিল। কিন্তু টানা ৪৮ ঘন্টার ভারী বর্ষনে তলিয়ে যায় সকল সবজি খেত। এতে করে সকল সবজি বিনষ্ট হয়ে যায়। সেই সঙ্গে তার সকল স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরে তিনি দিশেহারা হয়ে এখন শুধু কান্না করছেন। কোন শান্তনাতেই যেন তার কান্না থামছেনা। আজ রোববার সরেজমিন ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার প্রত্যন্তঞ্চল কয়ারিয়া ইউনিয়নের পূর্বচর আলীমাবাদ গ্রামের সেকান্দার ফকিরের ছেলে অসহায় কৃষক মোঃ বাবুল ফকির দুই একর জমিতে তার স্ত্রীর সহযোগীতায় কড়লা, লাউ, টমেটো, বাধা কপি ও লাল শাকসহ বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন সবজি চাষাবাদ করেন। তিনি ওই সকল সবজি চাষাবাদ করার জন্য এনজিও আশা ও ব্র্যাক থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা ঋন নেন। কিন্তু প্রকৃতি দূর্যোগ তাকে এক বিন্দু ছার দিলোনা। টানা ৪৮ ঘন্টার ভারী বর্ষনে ওই সবজি খেতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে তলিয়ে যায়। এতে করে সম্পূর্নরুপে চাষাবাদ করা সকল সবজি বিনষ্ট হয়ে যায়। সকল সবজি খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষক বাবুল ফকির এখন শুধু আহাজারি করছেন। তারই মত একই এলাকার মোঃ ইউসুফ খা তার ১একর জমির সবজি খেত ভারী বর্ষনে তলিয়ে গিয়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। তারা এখন একটু সহযোগীর জন্য বিভিন্ন মানুষের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু পাননি কোন সহযোগীতা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মোঃ বাবুল ফকির মাথায় হাত দিয়ে বলেন, আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। কিভাবে আমরা এখন বাঁচমু। আর কিভাবে ঋন পরিশোধ করমু। আসা ছিলো পরিবার নিয়ে সুখে দিন কাটামু তা আর হলোনা। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ফসল তলিয়ে গেছে আমরা শুনেছি। তবে যাতে করে তার সহযোগীতা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।
×