ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পটিয়া সদরের ডাক বাংলোর মোড় যেন মরন ফাঁদ

প্রকাশিত: ২৩:৫৫, ২২ অক্টোবর ২০১৭

পটিয়া সদরের ডাক বাংলোর মোড় যেন মরন ফাঁদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া ॥ ‘এটি পুকুর কিংবা জোয়ার-ভাটার খাল নয়’। মহা সড়কের পটিয়া পৌর সদরের ডাকবাংলোর মোড়। শনিবার রাতের বৃষ্টির পানি এভাবে জমে খালে পরিনত হয়েছে। হাটু পরিমান পানির কারণে রবিবার সকাল থেকে যানবাহন ছাড়াও ওই এলাকায় হাজারো মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এ জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে। কারণ ডাক বাংলোর মোড় এলাকায় মসজিদ ও ড্রেন নির্মাণ কাজে পৌর কর্তৃপক্ষের ধীরগতির কারণে রাস্তার পানি নিস্কাশন হতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে পানি জমে থাকার কারণে বেশ কয়েকটি দোকানের ব্যবসা-বাণিজ্যও যেনো বন্ধ হয়ে পড়েছে। অনেকে দোকানের সামনে থেকে পানি নিস্কাশন করতে দেখা গেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহা সড়কের পটিয়া পৌর সদরের ডাক বাংলার মোড় এলাকাজুড়ে হাটু পরিমান বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। অভিযোগ ওঠেছে, পৌর কর্তৃপক্ষ পৌর সদরে রাস্তার দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। এ ড্রেন নির্মাণ করতে গিয়ে পানি নিস্কাশনের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না রাখায় ডাক বাংলোর মোড়সহ কয়েকটি স্পটে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। দুর্ভোগের বিষয়টি পটিয়া পৌর মেয়র ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদের নজরে পড়েছে। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বর্ষা মওসুম ছাড়াও অসময়ে যে বৃষ্টি হচ্ছে তার কারণে ড্রেন নির্মাণের কাজ শেষ করতে পাচ্ছে না। ড্রেন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন মহা সড়কের দু’পাশে আর কোন জলাবদ্ধতা থাকবে না। ডাকবাংলোর এলাকায় জমে থাকা পানি পাম্প মেশিনের মাধ্যমে নিস্কাশনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) পটিয়ার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ মহা সড়কের দুই পাশে যে ড্রেনেজ সিস্টেমের কাজ শুরু করেছে তা সওজের সঙ্গে সমন্বয় না করার কারণে ডাক বাংলোর মোড়সহ অনন্ত ৪-৫টি স্পটে সব সময় পানি জমে থাকবে। ইতোপূর্বে সওজের পক্ষ থেকে পটিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপরও পৌর কর্তৃপক্ষ সওজের সঙ্গে সমন্বয় না করে ড্রেনের কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভুলের কারণে মহা সড়কের দু’পাশে বৃষ্টির পানি জমে কার্পেটিং রাস্তা নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে।
×