ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ ঐশীর

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ২২ অক্টোবর ২০১৭

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ ঐশীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিজ বাসায় পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। ৭৮ পৃষ্ঠায় দেওয়া পূর্ণাঙ্গ এ রায়টি প্রকাশ করেন রায় প্রদানকারী বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ, যা রবিবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। ঐশী রহমানের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে গত ৫ জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিচারকি আদালতের দেওয়া জরিমানা ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়। ঐশীর মানসিক অসুস্থতা, মাদকাসক্ত, পারিবারিক ইতিহাস, সর্বোপরি বয়স বিবেচনা করে এ রায় দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। আপিল শুনানিকালে এ মামলায় ঐশীর বক্তব্য শোনে হাইকোর্ট। গত ১০ এপ্রিল কারাগার থেকে হাইকোর্টে হাজির করে বিচারপতির খাসকামরায় তার বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। পরে তাকে কারাগারে নিয়ে যায় কারা কর্তৃপক্ষ। ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওইদিন বিকেলে পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করেন নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে ২০১৫ সালের ১৫ নবেম্বর আলোচিত এ মামলায় রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে ঐশীকে দুবার মৃত্যুদণ্ড এবং ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে দুই বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া অপর আসামি আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দেন। এরপর বিধি অনুসারে ঐশীর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ঐশী হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট শুনানি জন্য ঐশীর আপিল গ্রহণ করেন। এরপর গত ১২ মার্চ ঐশীর আপিলের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে গত ৫ জুন হাইকোর্ট ঐশীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
×