ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাইজারে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৩ পুলিশ নিহত

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ২২ অক্টোবর ২০১৭

নাইজারে বন্দুকধারীদের হামলায় ১৩ পুলিশ নিহত

অনলাইন ডেস্ক ॥ মালি থেকে আসা বন্দুকধারীদের হামলায় পশ্চিম নাইজারে ১৩ আধা-সামরিক পুলিশ নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। শনিবার ওই বন্দুকধারীরা পিকআপ ট্রাক ও মোটরসাইকেলে করে এসে আধা-সামরিক পুলিশের ঘাঁটিতে হামলা চালায় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা সূত্রগুলো। নাইজারের সামরিক কর্মকর্তারা হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। হামলাকারীরা মালি থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে নাইজারের প্রায় ৪০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে আয়োরোউ গ্রামের ওই ঘাঁটিটিতে হামলা চালায় বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে নিরাপত্তা সূত্রগুলো। ঘটনাস্থলে থাকা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল। “তাদের কাছে রকেট লঞ্চার ও মেশিনগান ছিল। চারটি গাড়িতে করে তারা এসেছিল, আর প্রত্যেকটি গাড়িতে প্রায় সাত জন করে যোদ্ধা ছিল,” বলেন তিনি। হামলার সময় গোলাগুলিতে এক হামলাকারী নিহত হলেও বাকীরা নাইজার সেনাবাহিনীর চারটি সামরিক যান নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে আরেকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরে অতিরিক্ত বাহিনী এসে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টায় থাকা হামলাকারীদের আটকায়, এতে দুপক্ষের মধ্যে বন্দুক লড়াই শুরু হয়। তারা মালিতে চলে যেতে সক্ষম হলেও তাদের অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নাইজারের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেছে, “স্থল ও বিমান বাহিনী হামলাকারীদের শেষ করে দেওয়ার লক্ষ্যে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করছে।” চলতি মাসের প্রথমদিকে এই গ্রামটি থেকে কয়েক ডজন কিলোমিটার দূরে মালির সীমান্তবর্তী নাইজারের আরেকটি এলাকায় জঙ্গিদের চোরাগোপ্তা হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন সৈন্য নিহত হয়েছিল। ২০১২ সালে মালির বিস্তৃর্ণ এলাকার দখল নেওয়ার পরের বছর ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অভিযানে জঙ্গিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর থেকে সাহারা মরুভূমির সরকারি কর্তৃত্বহীন এলাকাগুলোতে নিজেদের অবস্থান সংহত করে জঙ্গিরা। বেশ কয়েকটি ইসলামপন্থি জঙ্গিগোষ্ঠী এবং আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর বেসামরিক বাহিনী মালি-নাইজারের সীমান্তসহ সাহারা মরুভূমির ওই এলাকাগুলোতে তৎপরতা শুরু করে। এসব গোষ্ঠীগুলো গত বছরের প্রথমদিক থেকে ওই অঞ্চলে অন্তত ৪৬টি হামলা চালিয়েছে। তবে কর্মকর্তাদের ধারণা, এসব হামলার অনেকগুলো আরবিভাষী উত্তর আফ্রিকান জঙ্গি আদনান ওয়ালিদ আল সাহরাবির নেতৃত্বাধীন ‘ইসলামিক স্টেট ইন গ্রেটার সাহারা’-র কাজ। এই গোষ্ঠীটিই যুক্তরাষ্ট্র-নাইজারের যৌথ টহলদলের ওপর চোরাগোপ্তা হামলাটি চালিয়েছে বলে তাদের ধারণা। আল সাহরাবি ইরাক ও সিরিয়ার ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আনুগত্য স্বীকার করেছে। তবে এই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে কোনো যোগাযোগ আছে কি না তা জানা যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী শনিবারের হামলা বা এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের ওপর চালানো হামলার দায় স্বীকার করেনি।
×