ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রেমলিন কাপে চ্যাম্পিয়ন জুলিয়া জর্জেস

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২২ অক্টোবর ২০১৭

ক্রেমলিন কাপে চ্যাম্পিয়ন জুলিয়া জর্জেস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত বছর থেকে সময়টা বেশ ভালই কাটছে জুলিয়া জর্জেসের। ২৮ বছর বয়সী এ জার্মান টেনিস তারকা ক্যারিয়ারের সেরা র‌্যাঙ্কিং ১২ নম্বরে উঠেছিলেন। তবে এ বছর আবার নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। বছরের একেবারে শেষদিকে সাফল্য পেলেন। মস্কোয় অনুষ্ঠিত ক্রেমলিন কাপের শিরোপা জিতেছেন এ জার্মান তরুণী। ফাইনালে তিনি স্বাগতিক রাশিয়ার দারিয়া কাসাতকিনাকে ৬-১, ৬-২ সেটে বিধ্বস্ত করে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ডব্লিউটিএ শিরোপা জিতেছেন। এবার ক্রেমলিন কাপে সবার দৃষ্টি ছিল নিজেকে ফিরে পাওয়া মারিয়া শারাপোভার দিকে। কারণ ডোপিং নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর বেশ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন সাবেক এ বিশ্বসেরা। কিন্তু এবার চীনে তিয়ানজিন ওপেনে শিরোপা জিতে নিজেকে ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে মাশা প্রথমদিনেই বিদায় নেন বড় কোন তারকাবিহীন এ আসরে। শারাপোভার বিদায়ের পরই অন্য কারও শিরোপা জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ওঠেন ৭ নম্বর বাছাই জর্জেস এবং স্বাগতিক দেশের কাসাতকিনা। তবে দর্শকদের বিপুল সমর্থন পেয়েও জর্জেসের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি এ রাশিয়ান তরুণী। ২৬তম র‌্যাঙ্কিংধারী জর্জেস জিতে গেছেন নির্বিঘেœ। ক্যারিয়ারের পঞ্চমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিলেন দু’জন। উভয়ে ২টি করে জয় পেয়েছিলেন আগের চারবারের সাক্ষাতে। সেদিক থেকে কাসাতকিনার সম্ভাবনাটাই এবার বেশি দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু কাসাতকিনাকে তৃতীয়বারের মতো হারিয়ে শিরোপাটা নিজের হাতে তুললেন জর্জেস। মাত্র ৬৬ মিনিটের এ লড়াইয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করা কাসাতকিনা হেরেছেন ৬-১, ৬-২ সেটে। শিরোপা জয়ের পর দারুণ উৎফুল্ল জর্জেস। তিনি বলেন, ‘আমি বিস্ময়কর রকমের আনন্দ বোধ করছি। আমি এই মুহূর্তটার জন্য দীর্ঘদিন কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি এখন খুবই আনন্দিত এবং আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় কিছু। সেটা আমি দাশার (কাসাতকিনা) সঙ্গে মিলে উপভোগ করেছি।’ এবার দ্বিতীয়বারের মতো রাশিয়ার এ টুর্নামেন্টে অংশ নিলেন জর্জেস। আর পেয়ে গেলেন সেরা সাফল্যটা দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই। এ বিষয়ে জর্জেস বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় বছরের মতো এবার এখানে এসেছি এবং আমার মনে হয় ফলাফলের বিষয়টা বিবেচনায় না আনলে গত বছরটাই আমার দারুণ উপভোগ্য ছিল। আমি অবশ্যই আগামী বছরও এখানে আসব শিরোপা ধরে রাখার জন্য।’ চলতি মৌসুমে এটি ছিল জর্জেসের চতুর্থ ডব্লিউটিএ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। আর সে কারণেই শিরোপা লড়াইয়ের ম্যাচে স্নায়ুচাপটা হয়তো কমই ছিল এ জার্মান তরুণীর। মস্কোর অলিম্পিক ইনডোর এ্যারেনার হার্ডকোর্টে তাই ঝড় তুলেই হারিয়ে দিলেন কাসাতকিনাকে। আগের তিনটি ফাইনালে শিরোপা বেহাত হলেও অবশেষে এবার হলেন চ্যাম্পিয়ন। বছরের সেরা সাফল্য জর্জেসের।
×