ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বেগম জিয়ার সংবর্ধনায় ভাড়াটে লোক, ফোনালাপ ও অডিও ক্লিপ ভাইরাল

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২২ অক্টোবর ২০১৭

বেগম জিয়ার সংবর্ধনায় ভাড়াটে লোক, ফোনালাপ ও অডিও ক্লিপ ভাইরাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রথম ব্যক্তি ॥ ঢাকা শহর তো আইজকা ভরপুর মাইনসে। দ্যাখসেন না? দ্বিতীয় ব্যক্তি ॥ হ, আমরা যাত্রাবাড়ী-সাইনবোর্ড থেকে ৫ হাজার লোকের ব্যবস্থা করসি। আমি দেড়শো লোকরে দেড় লাখ টাকা দিসি। প্রতি জনে ১ হাজার কইরা। ওরা ব্যবস্থা করসে.... প্রথম ব্যক্তি ॥ তাই নাকি! আচ্ছা। ভেরি গুড। হ, অনেক লোক হইসে। লক্ষ লক্ষ লোক হইসে... বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বুধবার দেশে ফেরার পর এমন একটি টেলিফোন আলাপের অডিও ক্লিপ অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ায়। দুই ব্যক্তির এ টেলিফোন আলাপের প্রথম ব্যক্তির কণ্ঠ শুনে সবাই তাকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন হিসেবে চিহ্নিত করেন। এরপর তিন মিনিট ১৫ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপটি ফেসবুক-ইউটিউবে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। উঠে সমালোচনার ঝড়। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা মন্তব্য করেন, বিএনপির জনসমর্থন এমন তলানিতে নেমেছে যে, শেষ পর্যন্ত ভাড়া করে লোক এনে খালেদাকে সংবর্ধনা দিতে হচ্ছে! কথোপকথনের সূত্র ধরে মাহবুব উদ্দিন খোকনের পরিচয় জানা গেলেও অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। বিএনপি সমর্থক ওই ব্যক্তি সৌদি আরব থেকে কথা বলছিলেন। খোকনের প্রতি তার সম্বোধন ছিল ‘স্যার’। দুজনেই ছিলেন খোশমেজাজে। খোকনকে খুশি খুশি কণ্ঠে বারবার ‘ভেরি গুড’, শোকর আলহামদুল্লিাহ, ভাল করসেন ইত্যাদি বলতে শোনা যায়। টেলিফোন আলাপের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হলো- প্রথম ব্যক্তি ॥ দুইটা পর্যন্ত অনলাইনে আছিলাম। আফনের ব্যানারওয়ালা ছবি পোস্ট করসি। আফনাদের উকিল-ব্যারিস্টারদের যে ব্যানার ওইটা পোস্টও করসি... খোকন ॥ আপনি ঢাকায়... দেশে নাকি? দ্বিতীয় ব্যক্তি ॥ না, সৌদি আরবে। খোকন ॥ ও আচ্ছা, ওই খান থাইকা সব কন্ট্রোল করছেন। যাক ভাল, শোকর আলহামদুল্লিাহ। দ্বিতীয় ব্যক্তি ॥ তা, স্যার, ভাল আসেন তো? খোকন ॥ হ্যাঁ, আছি মোটামুটি... দ্বিতীয় ব্যাক্তি ॥ স্যার, ম্যাডামের ওই উপদেষ্টা আছে না, ড. এনামুল হক, সিলেট বাড়ি। আমার এখানে আইছিল। গত পরশুদিন এখান থেকে গেছে। ম্যাডামের লগে আইজকা একসঙ্গে নামসে ফ্লাইটে (ঢাকায়)। এখান (সৌদি আরব) থেকে গেছে দুবাই, দুবাই থেকে ম্যাডামের সাথে একলগে। আমাদের সাথে তিন চারদিন ছিল। একটু খাওয়াটাওয়া খাওয়াইছি। একটু গিফট দিসি ওনার (উপদেষ্টা) মেয়েরে। খোকন ॥ যাক, ভাল করসেন। ভেরি গুড... দুই আড়াই মাস থেকে... ল’ইয়ারদের আন্দোলনের পর থেকে বুঝছেন নাকি, অনেক আগায়ে গেসি। শুরু করসি দুই আড়াই মাস আগে... (ষোড়শ সংশোধনীর বিতর্কিত রায় প্রকাশের সময়) দুই আড়াই মণ মিষ্টি খাওয়ায়ে শুরু করছিলাম আমি। দ্বিতীয় ব্যক্তি ॥ গত ৫ বছরে যা হয় নাই, দুই আড়াই মাসে আপনাদের আন্দোলনে তা হইসে। আমরা অনেক আগায়ে গেসি... খোকন ॥ যাক, এখন একটা অবস্থায় এসে গেসে। পুলিশ হসপস (বিশৃঙ্খল) হয়ে গেসে, ইলেকশন কমিশন হসপস, জুডিশিয়ারিও হসপস... দ্বিতীয় ব্যক্তি ॥ এখন যদি ইলেকশনটা আমাদের পক্ষে থাকে, ইনশাল্লাহ.. সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে হয়... আপনারা যেখানে বলবেন কাজ করব। খোকন ॥ হবে, আস্তে আস্তে হবে... দোয়া করেন.. সবকিছু ঠা-া মাথায় করতে হবে... মহসীন কিন্তু আপনার ব্যাপারে খুব হ্যাপি... মহসীন বলছে, দেখছেন, খোকন, এইসব লোক চিনি না ভালভাবে, বিএনপির জন্য কতো কী করতে চায়.... দেখসেন অবস্থা খোকন... ওকে থ্যাঙ্ক ইউ ভাই... দ্বিতীয় ব্যক্তি ॥ ওকে, ভাল থাকেন...
×