ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২২ অক্টোবর ২০১৭

আজ তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের আজ জন্মদিন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক, স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক গণমানুষের নেতা তোফায়েল আহমেদ আজ ৭৩ পেরিয়ে ৭৪ এ পা রাখবেন। তোফায়েল আহমেদ ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলার কোড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ডাকসুর ভিপি থাকাকালে চারটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রদত্ত ৬ দফাকে হুবহু ১১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৯-এ তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০-এর ৭ জুন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ছাত্র ও গণআন্দোলনে সফল নেতৃত্ব প্রদান করায় তোফায়েল আহমেদ দেশবাসীর আকুণ্ঠ সমর্থন, ভালবাসা এবং আস্থা অর্জন করেন। আবাসিক হল এবং ডাকসুর ভিপি থাকাকালে তিনি জাতির জনকের একান্ত সহচর্জে আসেন। ঐতিহাসিক ৭০-এর নির্বাচনে তিনি ভোলার দৌলতখাঁ-তজুমদ্দিন-মনপুরা আসন থেকে মাত্র ২৭ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং মুজিব বাহিনীর অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার প্রধানের একজন। স্বাধীনতার পর যুদ্ধের পরও বিধ্বস্ত দেশ গড়ার ভূমিকায় অসামান্য অবদান রাখেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালীর হৃদয় জয় করে নেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির জনকের নির্মম হত্যাকা-ের পর একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তোফায়েল আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৩৩ মাস তিনি কারান্তরালে ছিলেন। ১৯৭৮-এ কুষ্টিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরে দলের আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেন। ১৯৮৬, ’৯১ এবং ’৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে পরপর তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোলা-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতির বাইরেও ব্যক্তিগত চরিত্র ও আচরণে অমায়িক এই সংগ্রামী রাজনীতিকের পরোপকার, বদান্যতা, সাহিত্য-সঙ্গীত ও সুকুমার শিল্পের প্রতি বিশেষ আগ্রহ তার মনন ও চেতনাকে মহিমান্বিত করেছে। জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ কোন আনুষ্ঠানিকতা নেই জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ শনিবার সন্ধ্যায় জনকণ্ঠকে বলেন, বঙ্গবন্ধুও জন্মদিনে কোন আনুষ্ঠানিকতা করতেন না, আমরাও করি না।
×