ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নড়াইলে দু’দিনের বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা ॥ জনভোগান্তি এখন চরমে

প্রকাশিত: ২৩:১১, ২১ অক্টোবর ২০১৭

নড়াইলে দু’দিনের বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা ॥ জনভোগান্তি এখন চরমে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল ॥ নড়াইলে দু’দিনের অবিরাম বর্ষণে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে লোহাগড়া পৌরসভায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নড়াইল পৌরসভার কিছু এলাকায় ড্রেন থাকলেও ময়লা-আবজর্নায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় নাগরিক ভোগান্তি এখন চরমে। বর্ষণের কারনে স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তেমন উপস্থিতি ছিল না। এ পরিস্থিতিতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে তেমন কেউ বের হচ্ছেন না। এদিকে, ধানসহ শীতকালীন শাক-সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২৮ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার পৌরসভা এলাকা। ১৯৭২ সালে নড়াইল পৌরসভা গঠিত হয় এবং ১৯৯৯ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। পৌরসভায় গ্রামের সংখ্যা ২৪টি এবং জনসংখ্যা ৭০ হাজারের অধিক। পৌরসভার মহিষখোলা, বরাশুলা, ভাটিয়া, ভওয়াখালী, কুড়িগ্রাম, বাহিরডাঙ্গা, আলাদাতপুর, গো-চর, দূর্গাপুর, নয়নপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন নির্মাণ না করায় বছরের ৩ থেকে ৪ মাস জুড়েই পানির সঙ্গে বসবাস করতে হয় স্থানীয়দের। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি প্রবেশ করায় স্বাভাবিক কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। আর যেসব এলাকায় ড্রেন আছে তাও পৌরবাসীর অসচেতনতার কারণে ময়লা আবর্জনা ভরে ড্রেন দিয়ে ঠিকমত পানি চলাচল করতে পারে না। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এই এলাকার মানুষকে পানির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। পৌর কর্তৃপক্ষকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেন নির্মাণের দাবি আজও উপেক্ষিত। নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসার পিছনেই বছরের প্রায় ছয় মাস পানি জমে থাকে। এছাড়া চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে দক্ষিণ দিকের সড়ক এবং মিতালী সংঘের পাশ দিয়ে যাওয়া সড়কে বছরে ৩ থেকে ৪ মাস জুড়ে পানি থাকায় পৌরবাসীর দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে অবিরাম বর্ষণে লোহাগড়া পৌর শহরের ও গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ রাস্তাঘাট,বাড়ি-ঘর, পুকুর, ডোবা ডুবে গেছে। এতে করে চরম জনভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। দু’দিনের প্রবল বর্ষণের কারণে লোহাগড়া পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরের মধ্যে পানি প্রবেশ করায় বেড়েছে জনভোগান্তি। এমনিতেই জলাবদ্ধতার কারনে লোহাগড়া পৌর শহরের লোকজন পায়ে হেটে ছাড়া ভ্যান- রিক্সায় করে ঘরে যেতে পারেন না। তার উপর বৃষ্টি আর পানি-কাঁদায় যেন সব একাকার হয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে কবে নাগাদ পৌরবাসী মুক্তি পাবেন তা কেউ জানেন না।
×