ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে আমতলীর ৩০ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ২১ অক্টোবর ২০১৭

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে আমতলীর ৩০ গ্রাম প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার পশ্চিম ঘটখালী, বালিয়াতলী ও তেতুঁলবাড়িয়ার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পানিতে এলাকার ঘরবাড়ী তলিয়ে গেছে। অনেক মানুষ বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে বৈরি আবহাওয়া ও গত চারদিন ধরে প্রবল বর্ষণে জন মানুষ বিপর্যস্থ হয়ে পরেছে। শ্রম ও দিনমজুর মানুষ অর্ধাহার অনাহারে দিনাতিপাত করছে। আমতলী ও তালতলীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাহিরের নিম্নাঞ্চল সাগর ও তৎসংলগ্ন পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ী-ঘর তলিয়ে গেছে। এতে দু’উপজেলায় ৫০ হাজার মানুষ দূর্ভোগে পরেছে। কলাপাড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাগেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ১৬৯ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুদিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানাগেছে, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬ ফুন পানি বৃদ্ধি পেয়ে সাগর ও পায়রা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ী-ঘর তলিয়ে গেছে। ১২ অক্টোবর রাতে জোয়ারের পানির প্রবল চাপে পশ্চিম ঘটখালী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের উপর নির্মিত স্লুইজটি ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ওই ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি গ্রামে প্রবেশ করেছে। এলাকার মানুষের ঘর বাড়ী জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। অপর দিকে আমতলীর গাজীপুর বন্দরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘর বাড়ী জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বরগুনা জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। সাহায্য পেলে দুর্গতদের যথাসময়ে বিতরন করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম দেলওয়ার হোসেন বলেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য সহযোগীতা করা হবে। বরগুনা পানি উন্নয়র বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান বলেন স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন পশ্চিম ঘটখালী বাঁধ এলাকা আমি পরিদর্শন করেছি। এখন অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে বাঁধ বেধে রাখা যাবে না। জোয়ারের চাপ কমলেই বাঁধ বেধে দেয়া হবে।
×