তোমার ঋতহাত
জাহিদ হায়দার
তুমি কি বেঁচেছিলে সঙ্গ-তৃষ্ণায়?
তুমি কি জেগে আছ বিস্মৃতি অন্যের?
বিদায় বলো নাই, বললে বলা যেত,
কতটা একসাথে চললে চলরেখা
বলতে পারে পথ,আবার দেখা হবে।
চিহ্নগুলি আজ আমার সত্তায়
দিনের রাত্রিতে ওড়ায় যাপনীয়।
শূন্য-কোলাহলে মোমের ক্ষত পোড়ে।
সত্য যতটা বিশ্বরূপ হলে
বলতে পারি আমি
আমার শরণ্য তোমার ঋতহাত,
তোমাকে ছেড়ে আজ
যাবে না এই বাঁচা
আসুক মৃত্যু,
আমার কথা নয় অন্ধ ধর্ম।
** ঘ্রাণে- বেগানা রাতের পাঠ
মিজান মনির
অন্ধকার ছুঁয়েছে ওম পাওয়া হাত
নির্ঘুম কেটেছে একেকটি রাত!
নির্জীব প্রকৃতি ঝিঁ ঝিঁ পোকার স্বর
ভালোবাসার আলিঙ্গনে জেগেছে পাঠমগ্ন ঘর।
প্রাথমিকে যাওয়া মন বুঝে না ওসব
শৈশব লুকোচুরি-বউছি মাধ্যমিকে সরব
ফুলে ফুলে ওড়ে অলি নেই তার সীমা-জাত!
বাড়ন্ত শরীর- জেগেছে প্রাণ কোন ঔরসজাত?
গোপন আলমিরা খুলে মনপাখি ওড়ে কোন বৈশাখী ঘ্রাণে
শস্যভরা মৃত্তিকা, মুখস্থ ধারাপাতে যেন বিনিসুতোর বাঁধনে
কোলবালিশে বয়ে গেছে স্রোত বেগানা মধুর রাতে;
ওরে শৈশব, ওরে কৈশোর ফিরে এসো তবে- কোন অজুহাতে!
** ছিন্নবিষ সাপের মতো রাত
রফিকুজ্জামান রণি
বিপন্নরাতে কখনো বা আকাশ কেঁদে ওঠে
নদীর বিষণœ নিনাদ-
খেয়ে নেয় তার রোদন-আর্তি
ফেনিল স্নিগ্ধতায়, ধ্রুপদী সমুদ্রঠোঁট
মুছে দ্যায় আকাশচক্ষু-
আর চেপে ধরে নদীর টুঁটি
তবুও ছিন্নবিষ সাপের মতো
পড়ে থাকে বিপন্নরাত-
মস্তকহীন রোদের পাশে একা!
গত সপ্তাহে ছোট কাগজ আলোচনা বিভাগে ‘পাতাদের সংসার’ ছোট কাগজটির ভিন্ন একটি প্রচ্ছদ ছাপা হয়েছিলো। আসল প্রচ্ছদ হবে এটা
শীর্ষ সংবাদ: