ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২০ অক্টোবর ২০১৭

ঝলক

ক্যান্সার নিরাময়ে ‘হীরা’ ক্ষতিকর ভাইরাস মানব শরীরে নানা অসুখ-বিসুখ ছড়ায়। তবে এখন থেকে এই ভাইরাসের বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে। ব্রিটেনের ওয়েস্ট স্কটল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি দল এমন একটি সুখবরই দিলেন। তারা এমন একটি প্রোটিন উৎপাদন করেছেন, যেটা ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে পারবে। বিজ্ঞানীদের ওই দলটি জানিয়েছে, নতুন এ প্রোটিন ক্যান্সার নিরাময়েও ভূমিকা রাখতে পারবে। কিন্তু ল্যাবরেটরির গবেষণা থেকে কীভাবে তা মানুষের চিকিৎসার কাজে লাগবে, এখন তারা সেটা বোঝার চেষ্টা করছেন। প্রোটিনটির নাম দেয়া হয়েছে হীরা। একটু জটিল হলেও চিকিৎসায় কাজে লাগানো খুব একটা কঠিন হবে না বলে জানিয়েছেন তারা। তিন বছর আগে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় ও বিটসন ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে কাজ করা ড. তারাঞ্জিত সিং রয় ও তার সহকর্মীরা বলেছিলেন, জীবকোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাগগুলো শৃঙ্খলায় নিয়ে আসতে পারবে হীরা। যেটা ক্যান্সার নিরাময়ে ভূমিকা রাখবে। তারাঞ্জিত রয় বলেন, যদি আপনি ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করতে চান, তবে অবশ্যই জীবকোষের রূপান্তরে ভাইরাসের ব্যবহার জানতে হবে। যখনই আমি ভাইরাস ব্যবহার করতে গিয়েছি, প্রোটিন হীরা নতুন এক জায়গায় চলে গেছে। তখন আমি ভাবলাম, ভাইরাস দমনে এটা খুবই উপযোগী হবে। চিকিৎসক তারাঞ্জিত রয় বর্তমানে ওয়েস্ট স্কটল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। ভাইরাস দমনে নতুন এই প্রোটিনটি আবিষ্কার করেছেন তার সহকর্মীরা। শুধু ভাইরাস নয়, ক্যান্সারকে হারাতে পারবে হীরা। -বিবিসি অনলাইন স্যুটকেসে রহস্যময় চোর ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের শহর ব্যুভের পুলিশ এমন রহস্যময় পরিস্থিতিতে আর কখনও পড়েনি। রাজধানী প্যারিস থেকে সেখানে যাত্রীবাহী বাস চলাচল আছে। সম্প্রতি শহরটিতে যাত্রীদের ব্যাগ থেকে জিনিসপাতি চুরির হার মারাত্মক রকম বেড়ে যায়। কিন্তু কীভাবে এ চুরির ঘটনা ঘটছে তা এক অদ্ভুত রহস্য। অবশেষে বাসের এক স্যুটকেসের ভেতরে পাওয়া যায় চোরকে। ব্যুভে থেকে প্যারিস সোয়া ঘণ্টার দূরত্ব। ব্যুভে বিমানবন্দর থেকে যাত্রী ও তাদের বাক্স-পেটরা নিয়ে বাস যায় প্যারিস বিমানবন্দরে। শেষে বাসের এক চালক গত সপ্তাহে চোরকে খুঁজে বের করেন। চালকটি লক্ষ্য করেন, একটি বাদামী রঙের ব্যাগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলছে। তা দেখেই পুলিশকে খবর দেন তিনি। পুলিশ এসেই পর্যবেক্ষণ করতে থাকে ওই ব্যাগের দিকে। হঠাৎ করেই দেখা যায়, রোমানিয়ার এক নাগরিক সেই ব্যাগ নিতে এসেছেন। তৎক্ষণাৎ সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই জানা যায় চুরির গল্প। পুলিশ ব্যাগ খুলে চমকে যায়। ব্যাগের ভিতরে গুটিসুটি মেরে আছে চোরটি। যাত্রীদের জিনিসপাতি নিয়ে ব্যাগে ঢুকে পড়ত চোর। বাস চলা শুরু করলে ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসত। ব্যাগ রাখার নির্ধারিত স্থানে চোরটি অন্য যাত্রীদের ব্যাগ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করত। এরপর সেগুলো ভরে রাখত কালো রঙের অন্য একটি ব্যাগে। চুরি শেষ হলে আবার ঢুকে পড়ত বাদামী রঙের স্যুটকেসে। -আরএফআই অনলাইন
×