ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এক ব্যাক্তির সর্বোচ্চ ২০টি সিম নিতে পারবে ॥ তারানা হালিম

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

এক ব্যাক্তির সর্বোচ্চ ২০টি সিম নিতে পারবে ॥ তারানা হালিম

অনলাইন রিপোর্টার ॥ একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সীমাবদ্ধতা দূর করে আগের মতো ২০টি সিম নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর ফলে একজন গ্রাহক তার এনআইডির বিপরীতে এক বা একাধিক অপারেটরের সব মিলিয়ে ২০টি সিম রাখতে পারবেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে বৈঠকে টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, “একজন গ্রাহক একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখতে পারবেন বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।” ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে সর্বোচ্চ ২০টি সিম বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের সুযোগের পরিবর্তে পাঁচটিতে কমিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গত সেপ্টেম্বরে মোবাইল অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তাতে সেভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বিটিআরসির হিসাবে গত অগাস্ট শেষ নাগাদ দেশে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহক আছে ১৩ কোটি ৯৩ লাখের বেশি। ২০টির বেশি সিম রাখা বা বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা সিম হস্তান্তরের বিষয়ে গ্রাহকদের সতর্ক করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গ্রাহকদের মনে রাখতে হবে, এখন বিটিআরসির বায়োমেট্রিক সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম আছে। বিটিআরসি কিন্তু সুনির্দিষ্ট বলে দিতে পারছে, কোন অপারেটরের কতটি সিম গ্রাহকের আছে বা তিনি নিয়েছেন। “কেউ যদি নিজের সিম অন্যর কাছে বিক্রি করে তাহলে ধরা পড়ে যাবে।” ২০টির বেশি সিম থাকলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খুব দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসবেন তারা। “তারপর ২০টির অতিরিক্ত সিমের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত হবে। আপনার এতগুলো সিম আছে কোনটা রাখতে চান- এ অপশন গ্রাহকদের দেব কি না তাও ভেবে দেখা হবে।” তবে গ্রাহকদের একবার ওই সুযোগ দেওয়া হলেও তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, “এই অপশন একবার দিয়ে দেখেছি, গ্রাহক কষ্ট করে টেক্সটও করে না, ডিঅ্যাকটিভও করে না। কাজেই আমাদের একটি মেকানিজম বের করতে হবে।”
×