ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত

এ্যাকর্ড আরও ৬ মাস কাজ করতে পারবে

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২০ অক্টোবর ২০১৭

এ্যাকর্ড আরও ৬ মাস কাজ করতে পারবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মেয়াদ শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে ৬ মাস অন্তবর্তীকালিন সময় এ্যাকর্ড বাংলাদেশে কাজ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এ্যাকর্ড এবং এ্যালায়েন্সের সাথে বাংলাদেশে কাজ করার জন্য যে চুক্তি করেছিল, তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০১৮ সালের ৩১ মে। এলায়েন্স ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাজ শেষ করে চলে যাবে। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ্যাকর্ড প্রতিনিধিবৃন্দের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশের (এ্যাকর্ড) ১৫ সদস্যের পরিচালনা কমিটি অংশ নেয়। আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, মেয়াদ শেষে বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে হবে পোশাক খাতে সংস্কার বিষয়ক ইউরোপের ক্রেতাদের জোট এ্যাকর্ডকে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে অবস্থানরত আমেরিকান জোট এলায়েন্স মেয়াদ শেষে আর দেশে থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। সরকার, বিজিএমইএ, ব্র্যান্ড এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ্যাকর্ডও যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। তারপর কোন কারণে দেরি হলে তাদের অন্তবর্তীকালিন সময় হিসেবে ৬ মাস দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ ছয় মাস এ্যাকর্ডের নাম হবে ‘ট্রানজেশনাল এ্যাকর্ড’। অ্যাকর্ডের ৮০ শতাংশ কাজ হয়েছে আগামী ৭ মাসে আশাকরি, বাকি কাজ তারা শেষ করবে। তারপর বাংলাদেশ সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে গঠিত ‘আরসিসি’ এ্যাকর্ড এবং এলায়েন্স-এর কাজ করবে। আরসিসি’র স্টেরিয়ার কমিটির সদস্য হবে সরকার, বিজিএমইএ, ব্র্যান্ড, আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন, আইএলও। আরসিসি’র স্টেরিয়ার কমিটির সদস্যরা আগামী জানুয়ারিতে প্রথম ও ৩১ মে’র আগে দ্বিতীয়বার এ্যাকর্ডের কার্যক্রম রিভিউ করবে। ওই সময় যদি দেখা যায় তাদের কাজ শেষ, তাহলে তারা চলে যাবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ্যাকর্ড এবং এ্যালায়েন্স বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ভুমিকা পালন করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে তারাইতো ব্র্যান্ডকে সর্টিফিকেট দিয়েছে যে আমাদের কারখানাগুলোর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার সংখ্যা খুবই কম।
×