ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে ১৯ দিনে ৪৫২ জেলে কারাগারে

প্রকাশিত: ০০:৩৪, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

বরিশালে ১৯ দিনে ৪৫২ জেলে কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ প্রজনন মৌসুমে ইলিশ নিধন প্রতিরোধে প্রতিদিনই পরিচালিত হচ্ছে অভিযান। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলবে আরও তিনদিন (২২ অক্টোবর) পর্যন্ত। ইতোমধ্যে মৎস্য অফিস ও নৌ-সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিভাগে জেল হয়েছে চার শতাধিক জেলের, জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় সাড়ে দশ লাখ টাকা, জব্দ হয়েছে বিপুল পরিমান অবৈধ জাল ও ইলিশ। সূত্রমতে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেদের দিয়ে কারা দাদন আর ঋণের বোঝার দায় চাঁপিয়ে ইলিশ শিকার করাচ্ছে তাদের নাম পরিচয় থেকে যাচ্ছে অন্তরালে। জেলেদের জন্য চাল বরাদ্ধের কথা সরকারীভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার প্রচারনা করা হলেও বরিশাল জেলার অধিকাংশ জেলেরা গত ১৮দিনে একমুঠো চালও হাতে পাননি। বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিসের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আজিজুল হক জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার প্রতিরোধে জেলেদের বিরুদ্ধে বিভাগের বিভিন্ন নদীতে প্রতিদিনই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ১৯ দিনে এক হাজার ৭১৬টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এরমধ্যে মোবাইল কোট বসেছে ৮০৯টি। মামলা হয়েছে ৫০৬টি। জেল হয়েছে ৪৫২ জন জেলের। আটককৃত জেলেদের মধ্যে ১৮ জনকে (প্রত্যেককে) এক বছর করে কারাদন্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৬শ’ টাকা। জব্দ করা হয়েছে ৩৩.২৬ লাখ মিটার অবৈধ জাল এবং ৮.৭৬ মেট্রিক টন ইলিশ। জব্দকৃত ইলিশ বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিলিয়ে দেয়া হলেও জালগুলো আগুনে ভস্মিভূত করা হয়েছে। অপরদিকে বরিশাল সদর থানা নৌ-পুলিশ ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে বুধবার সকাল থেকে রাত অবধি মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, কালাবদর ও কীর্তনখোলা নদীতে অভিযান চালিয়ে ইলিশ ধরার অপরাধে ১৮ জেলেকে আটক, ১০ হাজার মিটার জাল ও দুই মন ইলিশ জব্দ করেছেন। আটককৃতদের মধ্যে ১৫ জেলেকে একবছর করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক। দন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা জানান, সরকারী দলের পদধারী প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা জোরপূর্বক তাদের ইলিশ ধরতে বাধ্য করেছেন।
×