ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত

শোবিজের জনপ্রিয় তারকা বিদ্যা সিনহা মিম অভিনয়, লাবণ্য দিয়ে জয় করেছেন কোটি দর্শকের মন। সুন্দরীর খেতাব নিয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু। শোবিজ অঙ্গনে পা রাখার পর থেকেই ধীরে ধীরে মডেলিং ও অভিনয়ে সাবলীল পারফর্ম দিয়ে মিডিয়ায় বেশ আলোচিত। চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম এক সময় নাটকে নিয়মিত অভিনয় করলেও এখন ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম ব্যস্ত নায়িকা তিনি। তবে উৎসব উপলক্ষে এখনও নাটকে দেখা যায় তাকে। সম্প্রতি ওমানে একটি রোড শোতে অংশ নিয়ে দেশে ফিরেছেন এবং একসঙ্গে দুইটি ছবিতে অভিনয় করছেন এ তারকা। সমসাময়িক ব্যস্ততা ও অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে আনন্দ কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাতকার নিয়েছেন- রুহুল আমিন ভূঁইয়া আনন্দকণ্ঠ : প্রথমবারের মতো বিশ্বখ্যাত গোল্ড ও ডায়মন্ড বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মালাবার-এর আমন্ত্রণে ওমানে একটি রোড শোতে অংশ নিয়ে দেশে ফিরেছেন সে অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলুন? বিদ্যা সিনহা মিম : অনেক ভাল। এত মানুষ হবে আমি কল্পনাও করিনি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোন সেলিব্রেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করেছে। ওমানের মাসকাটে ১২ অক্টোবর, দোহারে ১৩ অক্টোবর ও সালালাহে ১৪ অক্টোবর তিনটি রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে ১০-১৫ হাজার দর্শক শুধু আমাকে দেখার জন্য এসেছে। এ জায়গাটায় অনেক ভাল লেগেছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করি। একজন অভিনেত্রীর একমাত্র চাওয়া দর্শকদের ভালবাসা। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য ওমানপ্রবাসী ভাইবোনদের। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের আর্টিস্ট নিয়ে কাজ করেছে মালাবার। আর সেই কাজের জন্য আমাকেই তারা পছন্দ করেছেন। এটা আমার জন্য অবশ্যই খুব আনন্দের। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পেয়ে আমি খুবই গর্বিত। অনুষ্ঠানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি এজন্য আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। জিসিসি (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল)-তে এটাই মালাবারের প্রথম আয়োজন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছেন বাংলাদেশেরই কৃতী ব্যবসায়ী ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি তৌফিক ইউনাইটেড কো. এলএলসির স্বত্বাধিকারী তৌফিকুজ্জামান পলাশ। উল্লেখ্য, মালাবারের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলিউড তারকা কারিনা কাপুর ও কাটরিনা কাইফ। আনন্দকণ্ঠ : আগামীকাল মুক্তি পাবে আপনার অভিনীত দুলাভাই জিন্দাবাদ চলচ্চিত্রটি। এ চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে বলুন? বিদ্যা সিনহা মিম : গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের গল্প নিয়ে দারুণ একটা ছবি । আমাদের দেশের দর্শক যেমন পারিবারিক গল্পের ছবি চায় এটি তাই । এতে ডিপজল ভাই, মৌসুমী আপু ও বাপ্পী চমৎকার অভিনয় করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি এই বড় মাপের তারকাদের সঙ্গে ভাল কাজ করার। এ ছবিতে কাজ করে আমার বেশ ভাল লেগেছে। আশা করি দর্শক ছবিটি সাদরে গ্রহণ করবেন। মৌসুমী আপার ছোটবোনের চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। এরইমধ্যে এ ছবির ‘মন জানে তুই’ শিরোনামের গানটি ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকে বেশ সাড়া পাচ্ছি। আনন্দকণ্ঠ : ছবিটি সম্পর্কে বলুন। বিদ্যা সিনহা মিম : ছবিটি সুন্দর মৌলিক গল্পের একটি ছবি। পরিবার নিয়ে দেখার মতো একটা গল্প। দর্শক যেমন পারিবারিক গল্পের ছবি চায় এটি তাই হয়েছে। আনন্দকণ্ঠ : বাপ্পীর সঙ্গে জুটি হিসেবে জনপ্রিয়তায় আপনাদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি কীভাবে দেখেন? বিদ্যা সিনহা মিম : আমি মনে করি দর্শকরা আমাদের জুটি গ্রহণ করেছে বলেই আমরা জনপ্রিয়তার তকমা পেয়েছি। জনপ্রিয়তা এনে দেয়ার বিষয়টি দর্শকদের হাতে। আনন্দকণ্ঠ : ‘আমি নেতা হব’ ছবির কাজ কতদূর? বিদ্যা সিনহা মিম : শেষের দিকে গানের শূটিং বাকি আছে। ‘আমি নেতা হব’ ছবিতে আমি যাত্রাদলে অভিনয় করা একজন আধুনিক তরুণীর ভূমিকায় রূপদান করছি। যাত্রাদলের একটি অনুষ্ঠানে নায়কের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটবে। তারপর গল্প ভিন্ন দিকে মোড় নেবে। এভাবে এই ছবিটির গল্প এগিয়ে যাবে। উত্তম আকাশ আমাদের দেশের খ্যাতিমান পরিচালক। আশা করছি ভাল কিছু হতে যাচ্ছে। আনন্দকণ্ঠ : দীর্ঘ আট বছর পর সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে জুটি হয়েছেন। কেমন লাগছে? বিদ্যা সিনহা মিম : বিষয়টি অবশ্যই অনেক ভাল লাগার। শাকিব খান এখন দেশের সুপারস্টার। তার সঙ্গে সব নায়িকাই এখন কাজ করতে আগ্রহী। শুধু দেশে নয়, ভারতের অনেক নায়িকাও শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করতে চান। তার সঙ্গে কাজ করা মানেই নতুন অভিজ্ঞতা। কাজের ক্ষেত্রে অনেক হেল্প করে। আনন্দকণ্ঠ : আগের শাকিব আর এখনকার শাকিবের মধ্যে কোন পার্থক্য চোখে পড়ে? বিদ্যা সিনহা মিম : যতটা দেখতে পাচ্ছি অনেক পার্থক্য আছে। তখনকার শাকিব শুধু বাংলাদেশের দর্শকদের ছিল। এখন তো ভারতেও তার অনেক দর্শক। সেখানেও অনেক জনপ্রিয় নায়ক তিনি। লুকে এসেছে দারুণ পরিবর্তন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই তার এ পরিবর্তন ইতোমধ্যেই সবার নজর কেড়েছে। আনন্দকণ্ঠ : ওপার বাংলায় ‘ইয়েতির অভিযান’ মুক্তি পেয়েছে। সেখান থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন? বিদ্যা সিনহা মিম : শূটিং ব্যস্ততার কারণে আমি ছবিটি কলকাতায় মুক্তির সময় সেখানে যেতে পারিনি। কলকাতায় যারা ছবিটি দেখেছেন তারা আমার অভিনয়ের খুব প্রশংসা করছেন। এছাড়া ইউটিউবে ছবিটি মুক্তির পর থেকে অনেক রিভিউ বের হয়েছে। সেখানে আমারও প্রচুর প্রশংসা হচ্ছে। তারকাবহুল ও বিগ বাজেটের এই ছবিটি দিয়ে কলকাতার সব শ্রেণীর দর্শকদের সামনে হাজির হতে পেরেছি। এটা বড় পাওয়া। তাছাড়া বর্তমানে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে রেটিংয়ের দিক দিয়ে হাইস্ট রয়েছে এবং শুনেছি মুক্তির পর শো-গুলো হাউসফুলে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে বলব ‘ইয়েতির অভিযান’ ছবিটিতে কলকাতার দর্শক আমাকে গ্রহণ করেছে। ছবি : আরিফ আহমেদ
×