ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার বস্তিতে অগ্নিনির্দেশনা প্রদানে সংকেত দিবে লুমকানি ডিভাইস

প্রকাশিত: ০২:৩১, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

ঢাকার বস্তিতে  অগ্নিনির্দেশনা প্রদানে সংকেত দিবে লুমকানি ডিভাইস

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগুন লাগার সংকেত নির্দেশনার কোন যন্ত্র এতদিন ছিল না। লুমকানি নামক ডিভাইস আগুন লাগলেই সংকেতের মাধ্যমে তা জানিয়ে দিবে কমিউনিটিকে অথবা অগ্নিনির্বাপক দলকে। বুধবার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের “আরবান স্লাম ফায়ার রেডিনেস প্রকল্পের” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লুমকানি যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন লাগার সংকেত নির্দেশনার উপর একটি মহড়ার আয়োজন করা হয়। এতে দেখা যায় আগুন লাগার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই লুমকানি যন্ত্রটি বিপবিপ শব্দ করে এবং এস এমএস’র মাধ্যমে সংকেত পৌছেদেয় কমিউনিটির অগ্নিনির্বাপক দল এবং নিকটস্থ ফায়ার স্টেশনের কাছে। যেন অগ্নিনির্বাপক দল অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নেভানোর কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ২২ মাস মেয়াদি এ প্রকল্পটি ঢাকা শহরের কড়াইল এবং কল্যানপুর বস্তিতে পাইলটিং আকারে বাস্তবায়ন করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বস্তির ৩৩০০ পরিবারে লুমকানি ডিভাইসটি/যন্ত্র স্থাপন করা হবে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের প্রযুক্তির উদ্ভাবন শীর্ষক এক আয়োজেন এই প্রকল্পটি সেরা দশ ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনের এর মধ্যে স্থান করে নেয়। প্রকল্পটির অর্থায়ন করছে গুগল ফাউন্ডেশন। প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অষ্টেলিয়ান হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট বলেন বাংলাদেশের বস্তিগুলোতে প্রায়শই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে, ওয়ার্ল্ড ভিশনের এই উদ্যোগ এশিয়ার মধ্যে প্রথম। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার, স্থানীয় জনগণের অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করা গেলে প্রকল্পটি টিকে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডাইরেক্টর ফ্রেড উইটিভেন; তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি বস্তিবাসির মধ্যে আগুন প্রতিরোধে সচেতনতার কাজ করার পাশাপাশি মানুষের জীবন জীবিকায়নের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহা পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অলি আহমেদ খান জানান “ ওয়ার্ল্ড ভিশনের সাথে পার্টনার শীপের মাধ্যমে ঢাকা শহরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ফায়ার সার্ভিস সব সময় পাশে থাকবে। তিনি দাতা সংস্থাকে অনুরোধ করেন যেন সমগ্র ঢাকা শহরে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়”। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব ও পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ড. এ এসএম মাকসুদ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর মহাপরিচালক, মোঃ রিয়াজ আহমেদ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পরোশনের আরবান রেজিলেন্স প্রকল্পের পরিচালক তারিক বিন ইউসুফ।
×