ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ সঠিক অবস্থানে রয়েছে : ইইউ রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত: ০২:২৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ সঠিক অবস্থানে রয়েছে : ইইউ রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ সঠিক অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এছাড়া সংস্থাটি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে কোফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার বাস্তবায়ন চেয়েছে। বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান ও রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিঙ্ক এসব কথা বলেন। বুধবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ডিক্যাব টক’ য়ে বক্তব্য রাখেন। ডিক্যাব আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নব নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিঙ্ক বাংলাদেশ ও ইইউয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান জানতে চাইলে রেনসে তিরিঙ্ক বলেন, ইইউ সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা এটির (রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান) বিরুদ্ধে প্রতীকী হিসেবে ব্যবস্থা। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারকে সমাধান করতেই হবে। অবশ্যই নিরাপদ ও নির্বিঘেœ রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন করতে হবে মিয়ানমারকে। রাষ্ট্রদূত বলেন, এতো কম সময়ে এতো রোহিঙ্গা শরণার্থীর পালিয়ে আসা এখানে মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। এ সংকট মোকাবেলায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের সকলকে সহযোগিতা করে যেতে হবে। তিনি জানান, রোহিঙ্গা সংকট দেখতে আগামী ৩০ অক্টোবর ঢাকায় আসবেন ইইউ’র মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার ক্রিস্টেস স্টাইলিনিডিস। ৩১ অক্টোবর তিনি কক্সবাজারে যাবেন। সেখান থেকে ফিরে এ বিষয়ে ইইউ’র অবস্থান জানাবেন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান রেনসে তিরিঙ্ক। অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত তিরিঙ্ক বলেন, আমরা মিয়ানমারকে চাপ দেবো, কিন্তু কীভাবে? এ দেশটি অনেকদিন চোখের আড়ালে ছিল। এখন আবার মিয়ানমারে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে চীন। সেজন্য একটি জটিল প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, এটা কীভাবে সমাধান হবে। তবে চীনের ভূমিকা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, এসব ধ্বংসের চিত্র আমরা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জানতে পারছি।
×