নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ভাউলার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১ টি দোকান ঘর দখলমুক্ত করার দাবিতে বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত ঘন্টা ব্যাপি এ কর্মসূচি পালন শেষে তাঁরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্কুলের জমিতে নির্মাণকৃত ১১টি দোকান দখলমুক্ত করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে ভাউলার উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১১টি দোকানঘর নির্মাণ করে চুক্তির ভিত্তিতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ভাড়া প্রদান করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ৩০ জুন দোকান ঘরের চুক্তি শেষ হলে নতুন করে চুক্তি নবায়নের জন্য দোকানদারদের নোটিশ প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান, ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও একটি মহলের যোগসাজশে স্থানীয় দোকানদাররা চুক্তি নবায়ন না করে বিদ্যালয়ের দানকৃত দোকান বলে দাবি করেন।
এছাড়াও আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান বিদ্যালয়ের কয়েকটি দোকান ইতোমধ্যে নিজেদের দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকরা ব্যবসায়ীদের দোকান ব্যবহার করায় বাঁধা প্রদান করেন। সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) গত ১৫ অক্টোবর বিদ্যালয়ের উক্ত দোকানগুলো বিদ্যালয়ের নয় বলে জানান এবং দোকানদারদের দোকান ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হায়দার আলী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীগের প্রভাবশালী নেতা, সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ও স্থানীয় তশিলদার আবুল কালাম আজাদের সহযোগিতায় উক্ত দোকানগুলো খাস খতিয়ানে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করছে। ১৯৯২ সাল থেকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উক্ত দোকান ঘরের ভাড়ার টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে।
আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন জানান, বিদ্যালয়ের দোকানঘর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। বিদ্যালয়ের নির্মানকৃত দোকান আপনার দখলে রয়েছে- এমন প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান।
রায়পুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, বিদ্যালয়ের জমির কাগজপত্র যদি ঠিক থাকে তাহলে কেউ দখল করতে পারবে না। এ ঘটনায় তার যোগসাজসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমাকে হেয় করার জন্য কিছু মানুষ এসব কথা বলছেন।
ভাউলার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, দীর্ঘদিন যাবত দোকান ঘর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাগজে কলমে উল্লেখ্য রয়েছে। হঠাৎ একটি কুচক্রি মহল দানকৃত খাস জমি বলে দাবি করছেন।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকতা আসলাম মোল্লা জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। শীঘ্রই বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারে প্রশাসন উদ্যোগ গ্রহণ করবে।