ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাজীগঞ্জে শ্রেণিশিক্ষিকার চেষ্টায় চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে অসুস্থ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ০২:০৩, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

হাজীগঞ্জে শ্রেণিশিক্ষিকার চেষ্টায় চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছে অসুস্থ শিক্ষার্থী

সংবাদদাত, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর ॥ হাজীগঞ্জ উপজেলার প্যারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুলতানা রাজিয়া। তিনি ঐ স্কুলের ৫ম শ্রেণি শিক্ষক। খাদিজা আক্তার এই বিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী। হঠাৎ করে কয়েক দিন যাবৎ তার অনুপস্থিতি টের পেলো সুলতানা রাজিয়া। খোঁজ নিয়ে জানলো সে অসুস্থ। ঐ দিন বিকালে খাদিজা আক্তারের বাড়ীতে হাজির হলো সে। খাদিজার মা তাকে ডেকে আনলেন। তার পাশে বসলো খাদিজা। নিস্তব্ধ খাদিজা। তার মাঝে নেই কোলাহল। নেই আনন্দঘন কোন ক্ষণ। আর কখনও দরস্তপনা শিশু-কিশোরের মতো ফিরবে কিনা খাদিজা? কারণ তার জন্মদাতা বাবা আর জন্মধারীণী মায়ের যে সাধ্য নেই। খাদিজার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ব্যায়-বহুল অর্থের। সে থেকে ঐ শিক্ষিকা নিজ উদ্যোগে শুরু করল খাদিজার চিকিৎসার জন্য চেষ্টা । যোগাযোগ করা শুরু করল শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন স্থানে। ইতিমধ্যে রাজিয়া সুলতানা ফেসবুকের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়ায় আমেরিকা প্রবাসী মামুনুর রহমান মজুমদার তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই জোগানের জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন খাদিজার স্কুল শিক্ষকসহ উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। যদি অর্থের জোগান না হয় মেয়েটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সম্ভাবনা কম। মেয়েটির মাথায় যেই রোগটি হয়েছে, তা চিকিৎসক বলছেন ব্রেনের নার্ভ ইনব্ল্যাড। যাকে বলা হয়- মাথার পেছনের রগ শুকিয়ে যাচ্ছে। খাদিজা আক্তার হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্যারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মৈশাইদ গ্রামের মিজি বাড়ীর ইয়াছিনের কন্যা। যখন মাথা ব্যাথা শুরু হয়, তখন আর ঘরে থাকতে চায় না খাদিজা। ছুটে চলে দিক-বেদিক। মাথা ব্যাথার যন্ত্রণায় খাদিজার বুক ধড়পড় করে। একটু শান্তির জন্য খাদিজার চটপট ব্যাকুলতা দেখে চোখের জল ঝরে মা-বাবাসহ প্রতিবেশীর। শিক্ষার্থীর পাশে শিক্ষক। শিক্ষকের পাশে শিক্ষার্থী। এই হলো সুশিক্ষার প্রয়াস। হয়তো ঐ শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা প্রানপন চেষ্টায় বেঁচে যেতে পারে খাদিজা। খাদিজার জন্য প্রয়োজন আর্থিক সাহায্য।
×