ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রেফারি এস্তার স্টাউবলির ইতিহাস

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

রেফারি এস্তার স্টাউবলির ইতিহাস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতে চলছে অনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপ। রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব আর বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের ডামাডোলে অনেকটাই আড়ালে চলে গেছে যবাদের এই টুর্নামেন্ট। তবে এই বিশ্বকাপে গণমাধ্যমের আলো অনেকখানি কেড়ে নিয়েছেন এস্তার স্টাউবলি। কেননা, ১৬ বছর পর এই প্রথম কোনো নারী রেফারিকে দেখা গেল বিশ্বকাপ পরিচালনা করতে। কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শনিবার অনুষ্ঠিত জাপান-ক্যালেডোনিয়া ম্যাচ দিয়েই ইতিহাসের সোনালি পাতায় জায়গা করে নেন তিনি। সুইজারল্যান্ডের এই রেফারি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। রেফারিংয়ে আসাটা অবশ্যই পারিবারিক কারণে। বাবা-চাচাদের সৌজন্যে ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের মধ্যেই বড় হয়েছেন তিনি। তবে রেফারিংয়ে পুরুষ-নারীর এই বিভেদে ঢুকে পড়তে নারাজ তিনি। বরং তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দেয়া। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না ছেলে বা মেয়ে রেফারির মধ্যে কোন পার্থক্য রয়েছে। মাঠে নেমে আপনি কতটা ভালভাবে খেলা পরিচালনা করছেন সেটাই যোগ্যতার নির্ধারক।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে এটা অন্য ম্যাচগুলোর মতোই একটা ছিল। পরে বিষয়টি ভেবে অনেক বেশি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। বুঝেছিলাম এটা একটা বিশেষ ব্যাপার ছিল। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত আরও একটা ম্যাচ হিসেবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।’ ২০০১ সালে অনুর্ধ-১৭ বিশ্বকাপে কোরিয়ার ইম ইয়ুনজু রেফারিং করেছিলেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় আয়োজিত বিশ্বকাপে ফ্রান্স বনাম ইউএসএ ম্যাচটি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। ১৬ বছর পর আবার কোন নারী রেফারিকে দেখা গেল বিশ্বকাপের আসরে বাঁশি মুখে নামতে। এস্তারের ম্যাচ পরিচালনায় খুশি দুই কোচ। এ বিষয়ে এস্তার বলেন, ‘এটা শুনে খুব ভাল লাগছে যে তাদের আমার ম্যাচ পরিচালনা পছন্দ হয়েছে এবং ওরা আমাকে আলাদাভাবে দেখেনি।’
×