ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নয়টার ট্রেন ঠিক নয়টায়ই ছাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

নয়টার ট্রেন ঠিক নয়টায়ই ছাড়ছে

মশিউর রহমান খান ॥ যুগের পর যুগ ধরে লোকমুখে শুনে আসা প্রবাদ ‘নয়টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে’ থেকে পুরোপুরি দুর্নাম ঘুচিয়ে অকল্পনীয়ভাবে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একসময় তা অসম্ভব ভাবা হলেও গত ছয় মাসে রেল কর্তৃপক্ষের দেয়া টাইম টেবিল অনুযায়ী প্রবাদের সেই নয়টার ট্রেন ঘড়ির কাঁটা দেখে ঠিক নয়টায়ই ছেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘ বছরের ঢিলেঢালা টাইম সিডিউল থেকে বেরিয়ে এসে যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই এমনটা করা সম্ভব হয়েছে। রাজধানীর পূর্বের কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন যা বর্তমান নাম ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাওয়া প্রায় সকল ট্রেনই সিডিউলের দেয়া সঠিক সময়ই মেনে চলছে। এমনকি এসব ট্রেন শুধু ছেড়ে যাওয়া নয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রায় সকল ট্রেনই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছেও যাচ্ছে নিয়মিত। সময়মতো ট্রেন ছেড়ে যাওয়া ও গন্তব্যে পৌঁছার কারণে আস্তে আস্তে স্থলপথের অন্যতম ও প্রধান বাহন হয়ে উঠছে রেলওয়ে। গত ছয়মাসে কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের লক্ষ্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের সময়সূচী অনুযায়ী গড়ে প্রায় ৯৪ থেকে ৯৫ ভাগ আন্তঃনগর ট্রেনই সময়মতো স্টেশন ছাড়ছে। আর প্রায় ৮৫ থেকে ৮৬ ভাগ লোকাল ট্রেন সঠিক সময়ে স্টেশন ছাড়ছে। এমনটি রেলওয়ের ইতিহাসে আর কখনও দেখা যায়নি বলে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন। ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হলেন রুহুল আমীন সাহেব। দীর্ঘ বছরের মতো কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছলেন কিন্তু ট্রেনে উঠে বসার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেন ছেড়ে দিল। সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেন ছাড়ার হুইসেল বাজলো। এ সময়ানুবর্তিতা দেখে আমীন সাহেবের চোখ ছানাবড়া এ কোন ট্রেন? ভুল কোন ট্রেনে চড়ে বসেন নি তো ? আশেপাশের যাত্রীদের কাছ থেকে সঠিক অবস্থা যাচাই করে নিলেন তিনি। ভাবতে লাগলেন আজীবন শুনে আসা নয়টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে বাক্যটি কি তাহলে ভুল প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে ? রাজশাহী স্টেশনে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন পৌঁছার পর আমিন সাহেব আরও চমকে গেলেন। ট্রেনের ভেতর দায়িত্বপ্রাপ্তদেরকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, বর্তমানে প্রায় সকল ট্রেন এভাবেই চলছে। সময় না মেনে ইচ্ছেমতো ট্রেন ছাড়া আর যে কোন স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন দাঁড় করিয়ে রাখার সেই আগের যুগ আর নেই। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি রাজধানীর সাবেক কমলাপুর বর্তমান ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রেনের প্রায় ৯৫ ভাগ ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। এর বাইরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিনের মোট কতটি ট্রেন কোন কোন সময়ে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছে ও কোন ট্রেনগুলো (লোকাল ও আন্তঃনগর) সময় মেনে যায়নি, কেন যেতে পারে নি তার সঠিক কারণ ব্যাখ্যা করা ও কোন কোন ট্রেন নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছেছে এ সম্পর্কিত সার্বিক তথ্য পর দিন সকাল দশটার মধ্যেই সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাগণ রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও রেলপথমন্ত্রীর টেবিলে হাজির করার নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। রেলওয়ের এ তিন প্রধানকর্তা এই তালিকা দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্বে গাফিলতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান বা প্রয়োজনীয় নানা দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এতে ট্রেন পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা গেছে। যার ফলেই ট্রেনের সময়সূচীর নিয়ম মানা সম্ভব হবে। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রেলপথকে নাগরিকের চলাচলের অন্যতম বাহন করতে কঠোর অবস্থান নেয়। গত কয়েক বছরের রেলওয়ের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাত্রীসেবা বৃদ্ধি করে সরকারী এ গণপরিবহনকে এগিয়ে নিতে সর্বোচ্চ আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী রেলের সার্বিক উন্নয়নে এ পর্যন্ত বিশাল বাজেটের প্রায় অর্ধশত প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। যার মধ্যে কয়েকটি ছাড়া প্রায় সবগুলোই বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে দৈনিক মোট ৫১ লোকাল, মেইল ও আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ৩১টি আন্তঃনগর ও বাকি ২০টি মেইল ও লোকাল ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া সারাদেশে প্রতিদিন তিন শতাধিক ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেলওয়ের উন্নয়নে নতুন লাইন তৈরি করা, পুরনো আমলের তৈরি সিগন্যাল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা, বিভিন্ন স্টেশনের আধুনিকায়ন করা, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করা, পুরনো রেলপথ সংস্কার করে ট্রেনের গতি বাড়ানোর পথ তৈরি করা, ক্ষতিগস্ত রেললাইনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ, নতুন জনবল নিয়োগ করে আগের তুলনায় দক্ষ লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, ট্রেন পরিচালনায় দক্ষতা অর্জনের জন্য দেশে-বিদেশে কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, সমস্যা হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে গ্রাহক দুর্ভোগ কমিয়ে আনা, নতুন নতুন কোচ ও ইঞ্জিন ক্রয় করাসহ সার্বিক নিবিড় পর্যবেক্ষণের কারণেই বর্তমানে ট্রেন পরিচালনায় সময় ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে। রেল সূত্র জানায়, গত কয়েক মাসে সঠিক সময়ে ট্রেন পরিচালনা না করা ও সময়মতো না ছাড়ায় কয়েকজন রেলওয়ে কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, রেল কর্তৃপক্ষের দেয়া নির্দেশ ও ট্রেন ছাড়ার ও পৌঁছার সময়সূচী ঠিকমতো পালন না করার কারণে কয়েকজন ট্রেন গার্ড ও ট্রেন পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ট্রেন ছাড়ার পর কোন স্টেশনে কোন ট্রেন কতক্ষণ থামবে তার নির্দেশিকাও সঠিকভাবে পালনের জন্য কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ পেলেই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ বছরের রেল পরিচালনার ইতিহাস পাল্টে যেতে শুরু করেছে। যাত্রীবাহী ট্রেনের মধ্যে আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেনের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে ট্রেন ছাড়ার নিয়ম মেনে চললেও লোকাল অনেক ট্রেনেই এটি প্রযোজ্য হচ্ছে না। লোকাল ট্রেন কখনও কখনও আধা ঘণ্টা দেরিতেও স্টেশন ছাড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে এর বাইরে কখনও কখনও আন্তঃনগর ট্রেনের সময়মতো স্টেশন ছাড়তে দেখা যায় না। কারণ হিসেবে রেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, পূর্বের স্টেশন থেকে লাইন ক্লিয়ারেন্স সিগন্যাল না দেয়ার কারণেও অনেক সময় ট্রেন সঠিক সময়ে ছাড়তে দেয়া সম্ভব হয় না। সরেজমিনে দেখা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনের গত সপ্তাহের প্রায় ৮৫ ভাগের বেশি ট্রেন সময়মতো স্টেশন ছেড়ে গেছে। বাকি কিছু ট্রেন সময়মতো ছেড়ে যায়নি। কোন কোন ট্রেন আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সময় ক্ষেপণ করেছে। এছাড়া কিছু আন্তঃনগর ট্রেনও সময়মতো কমলাপুর স্টেশন ছাড়তে দেখা যায় নি। কারণ হিসেবে রেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য পরের স্টেশনের লাইন ক্লিয়ারেন্স সিগন্যাল না পাওয়া, রাস্তায় যে কোন প্রকার দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে এসব আন্তঃনগর ট্রেন সময় মেনে স্টেশন ছাড়তে বা পৌঁছাতে পারেনি। বর্তমানে রেলওয়ের উন্নয়নে গত ছয় মাস যাবত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ট্রেন ছাড়ার জন্য রেল ভবন থেকে দেয়া কঠোর নির্দেশনা ও তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের কারণে এমনটা করা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে পুরনো রেলওয়ে সিস্টেমকেই পুরোপুরি বদলে দিতে বদ্ধপরিকর রেল কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম ধাপ হচ্ছে সঠিক সময়ে ট্রেন ছাড়ার নিয়ম মেনে নেয়া। যাতে প্রাথমিকভাবে কিছুটা সমস্যা তৈরি হলেও বর্তমানে অনেকটা আয়ত্তে আনতে পেরেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্র জানায়, যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা সময়মতো ট্রেন না ছাড়ার সংস্কৃতির কারণে যাত্রীরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছিল। নেহায়েত সমস্যায় না পড়লে বা বাসে চলাচলের কোন পথ না থাকলে কেউ ভ্রমণের জন্য রেলওয়েকে কখনও বেছে নিতে দেখা যেতো না। বর্তমানে সময়মতো ট্রেন ছাড়ার কারণে যাত্রীগণ আস্তে আস্তে ট্রেনের প্রতি ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে। যার প্রমাণ মেলে যে কোন উৎসবের সময় যাত্রার পথে বাহন হিসেবে ট্রেনকেই বেছে নেয়া। সময়মতো ট্রেন ছেড়ে আবার সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতেও দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে কোন কোন রুটে সম্প্রতি ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছার সময় আগের চেয়ে আধা ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগে যে ট্রেনটি ৬ ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছাতো রেল কর্তৃপক্ষের বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে তা কমিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে ৫ ঘণ্টা বা আরও কমে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর পাশপাশি ট্রেন সঠিক সময়ে ছাড়ার কারণে যাত্রীরা আবার রেলওয়েমুখী হচ্ছেন। নিয়ম পালনের এই ধারা অব্যাহত থাকলে অতি দ্রুতই রেলওয়ের যুগ যুগ ধরে চলে আসা চেহারা পাল্টে দেয়া সম্ভব হবে এবং রেলকে সত্যিকারার্থে গণপরিবহনে রূপান্তর করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ সহায়তায় এবং আমাদের প্রচেষ্টায় রেলওয়েকে প্রকৃত গণপরিবহনে পরিণত করতে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চলমান রয়েছে। রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নে বর্তমানে প্রায় অর্ধশত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইংল্যান্ড জাপানসহ সকল উন্নত দেশেই রেলওয়ের পরিচালনার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সঠিক সময়ানুবর্তিতা মেনে চলা। রেলওয়ের পুরনো চেহারা পাল্টে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। এরই অংশ হিসেবে আমরা সঠিক সময়ে ট্রেন ছাড়া ও নিরাপদে সময়মতো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। গত ছয় মাসে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সময়মতো আন্তঃনগর ট্রেনের প্রায় ৯৪ থেকে ৯৫ ভাগ ও লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫ থেকে ৮৬ ভাগ ট্রেন নিয়মানুবর্তিতার কারণে সঠিক সময়ে স্টেশন ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। যা রেলওয়ের ইতিহাসে আগে পালন করা সম্ভব হয়নি। আরও বেশ কিছু উদ্যোগ চলমান রয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে প্রায় সকল ট্রেনই নিয়ম মেনে সময়মতো ছাড়া ও গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। সময়ানুবর্তিতার কারণ হিসেবে রেলওয়ের মহাপরিচালক বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেলওয়ের উন্নয়নে নতুন লাইন তৈরি করা, পুরনো আমলের তৈরি সিগন্যাল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, বিভিন্ন স্টেশনের আধুনিকায়ন করা, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করা, পুরনো রেলপথ সংস্কার করে ট্রেনের গতি বাড়ানোর পথ তৈরি করা, ক্ষতিগস্ত রেললাইনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা, নতুন জনবল নিয়োগ করে আগের তুলনায় দক্ষ লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, ট্রেন পরিচালনায় দক্ষতা অর্জনের জন্য দেশে-বিদেশে কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, সমস্যা হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে গ্রাহক দুর্ভোগ কমিয়ে আনা, নতুন নতুন কোচ ও ইঞ্জিন ক্রয় করাসহ নিবিড় পর্যবেক্ষণের কারণেই বর্তমানে ট্রেন পরিচালনায় সময় ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ ছাড়া গত কয়েক মাসে দায়িত্বে অবহেলা করে সঠিক সময়ে ট্রেন পরিচালনা না করা ও সময়মতো না ছাড়ার কারণে কয়েকজন রেলওয়ে কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
×