নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলা উত্তর গাজীপুর বন্দরের শাহজাহান মুসুল্লীর (৬৫) তার স্ত্রী আকলিমা বেগমকে (২৭) যৌতুকের জন্য পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা সোনাখালী গ্রামের তাজেম আলী খানের কন্যা আকলিমাকে উত্তর গাজীপুর বন্দরের শাহজাহান মুসুল্লী ২০১০ সালে জোড়পূর্বক বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে আকলিমাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে। ওই সময় থেকে আকলিমাকে বাবার বাড়ী যেতে দেয়নি। বাবার বাড়ী যেতে চাইলে যৌতুক হিসেবে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বহুবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। মেয়ের সুখের দিকে তাকিয়ে বাবা তাজেম আলী খান জামাইকে প্রায়ই টাকা দিতো। মঙ্গলবার দুপুরে আকলিমার বোন শেফালী তাকে নিতে আসে কিন্তু আকলিমাকে বাবার বাড়ী যেতে দেয়নি শাহজাহান। বোনকে না নিয়ে শেফালী চলে যায়। শেফালী বোন আকলিমাকে নিতে আসায় ক্ষিপ্ত হয় শাহজাহান মুসুল্লী। এক পর্যায় রেইন্টি গাছের লাঠি দিয়ে আকলিমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে আকলিমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।পরে স্থানীয় চিকিৎসক মোঃ জসিম উদ্দিনকে ডেকে আনে। চিকিৎসক তাকে দেখে মৃত্যু ঘোষনা করেন। পরে ঘরের মধ্যে লাশ ফেলে রেখে শাহজাহান পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত আকলিমার বাবা তাজেল আলী খান বলেন ৭ বছর পূর্বে শাহজাহান মুসুল্লী আমার মেয়েকে জোড়পূর্বক বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে। ৭ বছরে একদিনও আমার মেয়েকে বেড়াতে যেতে দেয়নি। যখনই মেয়ে নিতে আসতাম তখনই যৌতুক দাবী করতো। তিনি আরো বলেন যৌতুক ও মেয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয় লোকের মাধ্যমে বহুবার সালিশ বৈঠক হয়েছে কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। তিনি আরো বলেন আমার মেয়েকে শাহজাহান মুসুল্লী পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আকলিমার মামা ইউসুফ মিয়া বলেন শাহজাহান মুসুল্লী আমার ভাগ্নিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
স্থানীয় চিকিৎসক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন ঘটনাস্থলে গিয়ে আকলিমাকে বিছানায় শোয়ানে অবস্থায় দেখতে পাই। পরীক্ষা করে ধারনা করেছি তার মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ বিরেন্দ্র নাথ শাহা বলেন ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন আকলিমার পরিবার বলছে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শহিদ উল্যাহ বলেন পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: