ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শেবাচিমের ল্যাসিক মেশিন বিকল হওয়ায় বঞ্চিত রোগীরা

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

শেবাচিমের ল্যাসিক মেশিন বিকল হওয়ায় বঞ্চিত রোগীরা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে বিকল হয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পরে রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাসিক মেশিনটি। ১২ কোটি টাকার এই আত্যাধুনিক মেশিন থাকার পরেও সেবা পাচ্ছেনা দক্ষিণাঞ্চলের চক্ষু রোগীরা। শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেশিনটি মেরামতের জন্য একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েও কোন সমাধান করতে পারছেনা। সেন্টাল মেডিক্যাল স্টোর ডিপার্টমেন্ট (সিএমএসডি) সূত্রে জানা গেছে, দেশের টেকনিশিয়ানরা এ মেশিনটি মেরামতে সক্ষম নয়। যে কারণে সিঙ্গাপুর থেকে চলতি মাসে টেকনিক্যাল পারসন নিয়ে এসে মেশিনটি মেরামত করতে উদ্যোগ নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সিএমএসডি থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র শেবাচিম হাসপাতালে মেশিনটি সরবরাহ করা হয়। এ মেশিন থেকে ল্যাসিক করানোর ফলে রোগীকে আর চশমা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়না। সূত্রে আরও জানা গেছে, শুরুতে দক্ষ জনবলের অভাবে এ মেশিনটি চালু করা যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে বিদেশ থেকে কয়েকজন টেকনিক্যাল পারসন এনে মেশিনটি চালু করা হয়। ওইসময় হাসপাতালের ল্যাসিক মেশিনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এ বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দেন ওই টেকনিক্যাল পারসনরা। এরই মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে অত্যাধুনিক মেশিনটির যন্ত্রাংশে ত্রুটি দেখা দেয়ার পর থেকে বিকল হয়ে পরে। যে কারণে ঢাকা সেন্টাল মেডিক্যাল স্টোর ডিপার্টমেন্ট থেকে টেকনিশিয়ান এনে মেশিনটি মেরামত করা হয়। পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে ফের মেশিনটি বিকল হয়ে পরে। এরপর দফায় দফায় চিঠি চালাচালি করেও মেশিনটি মেরামত করতে পারেনি শেবাচিম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেবাচিমের আইটি বিভাগের ইনচার্জ পরিতোষ কুমার জানান, পার্সে সমস্যা দেখা দেয়ায় প্রায় তিন মাস ধরে ল্যাসিক মেশিনটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে টেকনিশিয়ান খবর দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে জানানো হয়েছে, সিঙ্গাপুর থেকে চলতি মাসে টেকনিক্যাল পারসন এসে মেশিনটি চালু করে দেয়া হবে। হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও চক্ষু বিভাগের প্রধান ডাঃ নিজাম উদ্দিন ফারুক বলেন, হাসপাতালের প্রায় সব মেশিনই পরিচালনায় জটিলতা রয়েছে। কখনও মেশিনের ত্রুটি দেখা দেয়। আবার কখনও মেডিসিন শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কোন ফান্ড থাকেনা। যে কারণে কোন মেশিন বিকল হলে ঢাকার স্মরণাপন্ন হতে হয়। তিনি আরও বলেন, প্রায়ই মেশিনগুলোতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলেও মেশিন সরবরাহকারী ঠিকাদাররা তা মেরামত করতে চায়না। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ আব্দুল কাদির জানান, সাবেক পরিচালক ডাঃ সিরাজুল ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালীন এ গুরুত্বপূর্ণ মেশিনটি মেরামতের তাগিদ দিয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে একবার মেরামতও করে দেয়া হয়েছিলো। বর্তমানে ফের ল্যাসিক মেশিনটি বিকল হয়েছে পড়ে রয়েছে।
×