নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ পূর্ব হাজীপুরের চরম জীর্ণদশার এই স্থাপনাটির নাম জাপানি ব্যারাক হাউস। সিডর বিধ্বস্ত ঘরহারা মানুষের আবাসস্থলের জন্য জাপন সরকারের অর্থায়নে এটি করা হয়। ২০টি গৃহহারা পরিবারকে আবাসন পুনর্বাসনের জন্য করা হয় এই দু’টি ব্যারাক হাউস। প্রত্যেকটি ব্যারাকে ১০টি পরিবার থাকার কথা। এখন ব্যরাক হাউস দ’ুটির কঙ্কালসার অবস্থায়। বেড়া, চাল নেই ১৬টি কক্ষের। চারদিকের পিড়া নেই। পিলার পর্যন্ত ভেঙ্গে গেছে। তারপরও চারটি পরিবার চরম বিপদাপন্ন অবস্থায় ব্যারাক হাউসের দুই দিকে থাকছেন। হাজীপুর শেখ জামাল সেতুর পুবদিকে বেড়িবাঁধের বাইরে এই ব্যরাক হাউস দু’টির অবস্থান।
১৬টি কক্ষের এখন কোন চাল নেই। নেই বেড়া। চারটি কক্ষের চালের সব টিন ফুটো হয়ে গেছে। দুমরানো মোচরানো রয়েছে বেড়া। টিউবওয়েল নির্মাণের পরই অকেজো। এখন বডি পর্যন্ত নেই। টয়লেট ব্যবহার করা যায় না।
জানা গেছে, ২০টি গৃহহারা পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে হাজীপুরে বেড়িবাঁধের বাইরে সরকারি খাস জমিতে ১০ কক্ষ বিশিষ্ট দু’টি ব্যারাক হাউস নির্মাণ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে এই ব্যরাক হাউস দু’টি করা হয়েছিল। এভাবে কলাপাড়ায় মোট ৫১টি ব্যারাক হাউস করা হয়। গৃহহারা বিপদাপন্ন মানুষগুলোর গৃহপুনর্বাসনে ব্যবহৃত এই ব্যারাক হাউসগুলো ফের মেরামত কিংবা বাস উপযোগী করা হবে কী না তা কেউ জানাতে পারেন নি। কলাপাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ জানান, ওই ব্যরাক হাউসটি মেরামত কিংবা রক্ষণাবেক্ষনের জন্য এই মুহুর্তে কোন পরিকল্পনা নেই। উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার জানান, বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: