ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রিয়ায় নতুন চ্যান্সেলর হচ্ছেন রক্ষণশীল নেতা কুরজ

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

অস্ট্রিয়ায় নতুন চ্যান্সেলর হচ্ছেন রক্ষণশীল নেতা কুরজ

অস্ট্রিয়ার রক্ষণশীল দল পিপলস পার্টির নেতা সেবাস্তিয়ান কুরজ (৩১) হতে চলেছেন দেশটির নতুন চ্যান্সেলর। সেইসঙ্গে তিনি হচ্ছেন বিশ্বের তরুণতম সরকারপ্রধান। সমর্থকরা তাকে আদর করে ‘ভুন্ডারভুৎসি’ অর্থাৎ বিস্ময় বালক বলে ডাকেন। কুরজের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল পিপলস পার্টি রবিবারের সাধারণ নির্বাচনে জয় পেতে চলেছে বলে বুথফেরত জরিপে আভাস মিলেছে। বয়সের কারণে অস্ট্রিয়ার রাজনীতিতে কুরজকে তুলনা করা হয় ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে। পার্থক্যটা হলো, ম্যাক্রোঁ ও ট্রুডোর মতো কুরজ উদারপন্থী নন। প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে, অস্ট্রিয়ার নির্বাচনে পিপলস পার্টি ৩১ শতাংশ আসন জিতে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারে। তবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সেক্ষেত্রে কুরজের দল শেষ পর্যন্ত অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থী দল ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধতে পারে। ২০১৫ সালে শরণার্থী সঙ্কটের দিনগুলোতে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ভার্নার ফেইমান ও জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেল যখন সীমান্ত খুলে দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে ইউরোপে বসবাসের সুযোগ করে দিচ্ছিলেন, সে সময় অভিবাসীদের বিষয়ে আরও কঠোর আইন করার কথা বলেছিলেন কুরজ। সেই শরণার্থী সঙ্কট আর অভিবাসী প্রশ্নেœ কট্টর অবস্থানই কুরজের দলকে এবারের নির্বাচনে সাফল্য এনে দিয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। বয়সে নবীন হলেও ইউরোপের রাজনীতিতে কুরজ মোটেও অপরিচিত নন। ২০১৩ সালে ২৭ বছর বয়সে তিনি যখন অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন, ওই পদে তিনিই ছিলেন ইউরোপের তরুণতম নেতা। ১৯৮৬ সালের ২৭ আগস্ট অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জন্ম নেয়া কুরজ ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়েই আইন পড়েছেন। অস্ট্রিয়ার বাধ্যতামূলক মিলিটারি সার্ভিসও তিনি শেষ করেছেন। রক্ষণশীল এই রাজনীতিবিদ ২০১০-১১ সালে ভিয়েনা সিটি কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন। সেখানে তিনি পেনশন আর সব প্রজন্মের জন্য সমান সুযোগ তৈরির ওপর জোর দেন। কুরজের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল পিপলস পার্টির যুব শাখায়। আর ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়া এমপি। চলতি বছর মে মাসে দলের হাল ধরার পর পিপলস পার্টিকেও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে নিতে পেরেছেন তিনি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মতো কুরজও তার চারপাশে উদ্দীপ্ত কর্মীদের একটি বলয় তৈরি করতে পেরেছেন। -বিবিসি
×