ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সিইসির মন্তব্য বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার কৌশল হতে পারে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ০২:৪৫, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

সিইসির মন্তব্য বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার কৌশল হতে পারে: ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ‘বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার কৌশল হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সিইসির বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি কোন প্রেস ব্রিফিং করেন নি। ভেতরে বলেছেন। আমাদের সঙ্গেও সংলাপ আছে। আমাদের যা কিছু বলার, যা আলোচনা করার, তিনি কি বলেছেন; আমরা সংলাপে তা নিয়ে আলোচনা করব।’ সোমবার রাজধানীর কেআইবি অডিটরিয়ামে বিশ্ব খাদ্য দিবসের এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত খাদ্য মেলা ও খাদ্য দিবসের এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি। এর আগে আমন্ত্রিত অতিথিরা খাদ্য মেলার উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। ‘অভিভাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও, খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও’ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ খাদ্য মেলা চলবে বুধবার পর্যন্ত। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, সিইসির ওই মন্তব্য বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার কৌশল হতে পারে। এতে বিএনপিও খুব আশাবাদী হয়ে গেছে। খুব খুশি খুশি ভাব। ফকরুলের মুখে হাসি ফোটে উঠেছে। এই হাসিহাসি ভাব যেন নির্বাচনের আগ পর্যন্ত থাকে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনারের কাছে কোন আনুকূল্য (ফেভার) প্রত্যাশা করে না। আওয়ামী লীগ চায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক। দেশের কৃষিতে নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে গেছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, দেশের কৃষিতে নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটে গেছে। বর্তমান সরকারের অধীনে এই বিপ্লব অনিবার্য। কৃষির উন্নয়নে আমি অভিভূত। কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের আরও অধিক বিনিয়োগ করা উচিৎ। উন্নত দেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করা হয়। তবে দেশের কৃষি গবেষণায় যে বিনিয়োগ হচ্ছে, শিক্ষায়ও সেরকম বিনিয়োগ থাকা উচিৎ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমার শ্রীলঙ্গাকে খাদ্য সাহায্য পাঠিয়েছিলাম। কিছু কিছু দেশে খাদ্য রফতানি করার চেষ্টা করেছিলাম। বতর্মামে চীনেও খাদ্য ঘাটতি আছে। দেশে সাময়িকভাবে যে খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে তা অচিরেই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রোহিঙ্গা সংকটের কাছে বাংলাদেশ মাথা নোয়াবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছোট দেশ। যখন দেশে কৃষি উৎপাদনে বৈরি পরিবেশ বিরাজ করছে, দুই দুইটি বন্যা হয়েছে, তখন আমাদের উপর একটি বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমরা অভিবাসী শব্দটি যোগ করতে চায় না। মিয়ানমারে মনুষ্য সৃষ্ট ওই দুযোর্গ কাটিয়ে উঠলেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে। শেখ হাসিনা বসে নেই, বিশ্বে তিনি সচেতনতা তৈরি করছেন। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার আগে যে জোর গলায় কথা বলছিল, এখন তাদের সুর নরম হয়ে এসেছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলছে। শেখ হাসিনার সকল কর্মকান্ড মানবতার স্বার্থে ও এই ইস্যুতে তিনি কূটনৈতিকভাবেও সফল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার অবদান আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. ভাগ্য রানী বণিক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবদুল মান্নান আকন্দ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন এমপি, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. ওয়ায়েস কবীর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ গোলাম মারুফ।
×