ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সঞ্জিত রায় অর্থের অভাবে মেডি্কেলে ভর্তি হতে পারছে না

প্রকাশিত: ২১:১৩, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

সঞ্জিত রায় অর্থের অভাবে মেডি্কেলে ভর্তি হতে পারছে না

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী॥ অভাবী ঘরের মেধাবী ছাত্র সঞ্জিত রায়। ভোরের আলোয় আকাশটা যেমন ফর্সা দেখায় তেমনি আপন ভুবনে আন্ধার ঘরে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে সে। পিতৃহারা এই মেধাবী উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তার পারিবারিক অসচ্ছলতায় প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । একজন এমবিবিএস ডাক্তার হবার স্বপ্নে সে এবার ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে মেধা তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মেডিকেলে ভর্তির তার রোল নম্বর ১৯৩৪০৫। ভর্তির সিরিয়াল নম্বর ৩৫১। কিন্তু মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা প্রয়োজন। ভর্তির শেষ তারিখ ১৯ অক্টেবর। হাতে সময় মাত্র আছে তিনদিন। এই তিনদিনে অর্থ জোগার না হলে হয়তো সঞ্জিতের স্বপ্ন খান খান হয়ে যাবে। অভাবের সংসারে কীভাবে এই টাকার কে জোগান দেবে? তারপর মেডিকেল কলেজের লেখাপড়ার জন্য অনেক খরচ এই চিন্তায় অসহায় পরিবারটি ভেঙ্গে পড়েছে। নীলফামারীর জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের বাদিয়ারমোড় গ্রামের মৃত হিরেন্দ্র নাথ রায় ও অসহায় মা যশোদা রায়ের চার দুই মেয়ে দুই ছেলের মধ্যে সবার ছোট সঞ্জিত। তার বাবা ২০০৯ সালের ২৯ এপ্রিল জটিলরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অর্থের অভাবে মৃত্যু বরন করে। মা দিন মজুরী করে সংসার চালায়। মাত্র ৩৩ শতক জমির ফসল আবাদ করে সংসার চালায়। অর্থাভাবে বাবার চিকিৎসা করাতে না পেরে বাবাকে হারানোর পর সঞ্জিত শপথ নেয় সে ডাক্তার হয়ে গরীব দুখির চিকৎসা সেবা করবে। আজ সোমবার সকালে সঞ্জিতের বাড়ী গেলে তার মা জানায় ছেলেকে ডাক্তার বানাতে চাই। কিন্তু তার ভর্তি ও ডাক্তারী পড়ানোর এতো টাকা পাবো কই। আমার পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই তিনি তার ছেলের ডাক্তারী লিখাপড়ার ও মেডিকেলে কলেজে ভর্তির জন্য দয়াবান বিত্তশালীদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তার ছেলে প্রতি সাহায্যের ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। সঞ্জিত জানায় সে ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগ হতে গোল্ডেন এ প্লাস থেকে পেয়ে এসএসসি পাশ করে। ২০১৬ সালে নীলফামারী সরকারী কলেজ হতে জিপিএ এ প্লাসে এইচএসসিও পাস করে। সেই বছর মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু ভর্তির সুযোগ পায়নি। এবার মেডিকেলে কলেজে ভর্তির পরীক্ষা দিয়ে সে সুযোগ পায় ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। সঞ্জিত কান্না বিজরিত কন্ঠে বলে বাবাকে হারিয়েছি। বিনা চিকিৎসায় বাবা মারা গেছে। মৃত্যুর আগে বলে গিয়েছিল আমাকে কষ্ট করে হলেও আমি যেন ডাক্তার হয়ে গরীব মানুষের বিনা মূল্যে চিকিৎসা করাতে পারি। সঞ্জিত রায়ের ছোট চাচা অটো চালক দ্বিজেন্দ্র নাথ রায় বলেন অর্থাভাব্ আমার মৃত ভাইয়ের মেধাবী ছেলের কি ডাক্তার হবার স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে? এই সমাজে অনেক দয়াবান ব্যাক্তি আছেন। তারা এগিয়ে এলেই সঞ্জিতের ডাক্তার হবার স্বপ্ন পুরণ হতে পারে। সরাসরি কেউ সঞ্জিতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ০১৭৮০-৮৯৫-০১৫ নম্বর মোবাইলে কথা বলতে পারেন।
×