ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুরের সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভাঙচুর, আটক ৩

প্রকাশিত: ২০:৫০, ১৬ অক্টোবর ২০১৭

জামালপুরের সরিষাবাড়ী হাসপাতালে ভাঙচুর, আটক ৩

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা দশম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চেয়ার-টেবিল, আলমারি ভাঙচুরসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তছনছ হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার সাতে জড়িত তিনজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার চর ধানাটা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে নাসের উদ্দিন (১৭) পৌর এলাকার রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঘরের চালে উঠলে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বিকেল সোয়া পাঁচটায় তাকে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। কর্তব্যরত চিকিৎসক সাহেদুর রহমান এ সময় নাসের উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের অবহেলায় ওই ছাত্র মারা যাওয়ার অভিযোগে রোববার রাত আটটার দিকে রোগীর এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা চালায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা লোকজন ছুটোছুটি করতে থাকেন এবং চিকিৎসক ও কর্মচারীরা দৌড়ে উপর তলায় আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসলাম উদ্দিন আহত হন। হাসপাতালে কর্তব্যরত উপ সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা সানজিদা জান্নাত জানান, অতর্কিতভাবে ৫০-৬০ জন লোক জরুরি বিভাগে হামলা করে। হামলাকারীরা আসবাবপত্র ভাঙচুর ও নথিপত্র নষ্ট করে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মমতাজ উদ্দিন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ও রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। পরিবারের লোকজন মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার প্রায় দু’ঘন্টা পর বিক্ষুব্ধরা হাসপাতালে হামলা করে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান সোমবার সকালে জনকণ্ঠকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেহের হোসেন সাদ, পল্লব পাল ও হাসিবুল হাসান নামের তিনজন ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
×