ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বিএনপি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটগ্রহণসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আলোচনায় শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয় বলে সুপারিশ তুলে ধরেছে তারা। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল আজ রবিবার সংলাপে অংশ নিয়েছে। যদিও বিএনপি ইসিকে ১৭ সদস্য সংলাপে অংশ নেবে বলে একটি তালিকা দিয়ে জানিয়েছিল। কিন্তু ওই তালিকায় থাকা এমকে আনোয়ার এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত হননি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপ শুরু হয় বেলা ১১টায়। এতে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি লিখিত প্রস্তাবনা সিইসির কাছে উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবনায় রয়েছে- নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, চলতি সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয় ইত্যাদি। লিখিত প্রস্তাবে দলটি নিরপেক্ষ সরকারের কোনো রূপরেখা তুলে ধরেনি। পরে তারা এই রূপরেখা দেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন সংস্কার, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নানা বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। সংলাপে আসা এ পর্যন্ত সুপারিশগুলোর মধ্যে সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন,সেনা মোতায়েন, বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, প্রতি ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভি/ক্যামেরা স্থাপন, নবম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, দশম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, ‘না ভোট’ প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধান তুলে নেওয়া অন্যতম।
×