ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর বিএনপির আস্থা অনেক কম ॥ মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর বিএনপির আস্থা অনেক কম ॥ মির্জা ফখরুল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপরে তাদের আস্থা অনেক কম। কারণ বিরোধী দলের মতামতকে উপেক্ষা করে যে প্রক্রিয়ায় এই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে সেটি তার দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। মি. আলমগীর বলছেন, "নির্বাচন কমিশনে যারা আছেন তাদের অনেকেরই রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে বলে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে।" আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরবে। মি আলমগীর বলছেন, "আমরা মনে করে এদেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার জন্য আমাদের যতগুলো গণতান্ত্রিক পন্থা আছে তার সবগুলোতে আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরতে চাই।" কিন্তু তিনি একই সাথে বলছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচন কমিশন যে কথাবার্তা বলছেন তা কতটা ফলপ্রসূ হবে সেনিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবেই এই সন্দেহের মধ্যেই আজ এই সংলাপে বসতে যাচ্ছে বিএনপি। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নির্বাচনকে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক করে তোলার লক্ষ্যে একটি সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন সংসদ নির্বাচনের দাবি জানাবেন তারা। বিএনপি মহাসচিব বলছেন, "নির্বাচন-কালীন সময়ে যদি একটি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। যে কারণে আমরা বলছি একটা সহায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে।" সহায়ক সরকারটি আসলে কি সে প্রশ্নের জবাবে মি আলমগীর বলেন তারা এর একটি রূপরেখা খুব শীঘ্রই প্রকাশ করবেন। তবে নির্বাচনের আগেই সংসদকে ভেঙে দিতে হবে তেমন দাবি জানান মি আলমগীর। কিন্তু নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার ও সংসদ ভেঙে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের নয়। বরং এ দুটো রাজনৈতিক ব্যাপার। সেনিয়ে মি আলমগীর বলেন, "বাস্তবতাটা বুঝতে হবে যে এই বিষয়গুলি না হলে এখানে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।" নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হওয়ায় গত নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি। দলটি কি কিছুটা হলেও তার অবস্থান থেকে সরে এসেছে? মি আলমগীর তার জবাবে বলেন যে না তারা তাদের অবস্থান থেকে মোটেও সরে আসেন নি। বরং তারা পরিষ্কার করে বলছেন, নির্বাচনের সময় যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় তিনি সেনাবাহিনীকে নিয়োগ করার কথা বলছেন। তিনি বলছেন এটিই বাংলাদেশের সংস্কৃতি। সূত্র- বিবিসি বাংলা
×