ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে কালী মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় চার্জশীট দাখিল

প্রকাশিত: ০০:৪৪, ১৪ অক্টোবর ২০১৭

ঝালকাঠিতে কালী মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় চার্জশীট দাখিল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠি থানা পুলিশ সদর উপজেলার আগলপাশা গ্রামে বেদখল করার জন্য শ্রী শ্রী কালিমাতার মন্দির গুড়িয়ে দেওয়া এবং মন্দিরের জায়গায় ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছ কেটে লুট করে নেয়ার আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের হয়েছে। ভুমি দস্যু হিসেবে পরিচিত আগলপাশা গ্রামের মহসিন বাকলাই, তসলিম বাকলাই ও তাদের সহযোগিত মো: হোসেন আলী ও নুর হোসেনকে অভিযুক্ত করে তদন্তে গঠনার সত্বতা পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মো: মোজাম্মেল হক খান অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। মন্দির কমিটির সভাপতি সংকর লাল পাল বাদী হয়ে এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার আগলপাড়া গ্রামের ভট্টাচার্য্য পরিবার তাদের সম্পত্তির মধ্যে ৮২ শতাংশ জায়গা শ্রী শ্রী কালীমাতার নামে দেবত্তর সম্পত্তি করে রেখে যান। এই পরিবারের ২২ বিঘা সম্পত্তি একাধিক হাতবদল হয়ে মহসীন বাকলাইর এর তত্বাবধানে চলে আসে এই জায়গার মধ্যবত্তি ৮২ শতাংশ জায়গায় কালী মাতার মন্দিরে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগন শতবছর ধরে পূজা অর্চনা করে আসছে। গত ১১ মে, ২০১৭ তারিখ দিবাগত রাতে মহসীন বাকলাইয়ের নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে মন্দিরের জায়গা দখলের লক্ষে ভেকু ড্রেজার দিয়ে মন্দির দিয়ে বেদী গুরিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় এবং সেখানে কলাগাছ ও কচু গাছ রোপন করা হয় এবং মন্দির ভেঙ্গে ২৩ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়। এর পূর্বে ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ তারিখ মন্দিরের জায়গায় সৃজিত ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের গাছ কেটে নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের তত্বাবধানে থাকা দেবত্তর সম্পত্তির এই জায়গা জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নকশা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারন করে ২১ আগষ্ট ২০১৭ তারিখ মন্দির কমিটির কাছে বুঝিয়ে দেন। পুলিশের অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে ইতিপুর্বে আসামী মহসীন বাকলাইয়ের বিরুদ্ধে অপরাধ রেজিস্টারে ভুয়া নাম ব্যবহার করে সাজা ভোগ করেছেন।
×