ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরায় পাষন্ড স্বামী নয়, পাষন্ড পিতাও বটে !

প্রকাশিত: ০২:১৪, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

মাগুরায় পাষন্ড স্বামী নয়, পাষন্ড পিতাও বটে !

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা ॥ যৌতুকের টাকা না পেয়ে মাগুরার শ্রীপুরে কৌশলে নিজ স্ত্রী ও নবজাতক সন্তানকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এক পাষন্ড স্বামী। তবে নবজাতকটিকে নির্মমভাবে হত্যা করলেও মৃত্যর সাথে পাঞ্জা লড়ছে হতভাগ্য স্ত্রী লাবনী খাতুন (২২)। মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ার বাসিন্দা অরিফ হোসেন অভিযোগ করেন, এক বছর অগে শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া রামনগর গ্রামের মানিক খানের ছেলে রাজু খানের সাথে তার বোন লাবনীকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী রাজুসহ তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের দাবীতে লাবনীকে নির্যাতন করে আসছে। এক পর্যায়ে লাবনী সন্তান সম্ভব্য হয়ে পড়লে সন্তান প্রসবের কথা বলে তাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে মাগুরা শহরে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এর এক পর্যায়ে গত ৫-৬ দিন আগে তার স্বামী রাজু নিজ বাড়িতে ডেলিভারী করার জন্য লাবনীকে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যায়। লাবনীকে বাড়িতে নিয়েই এসেই রাজু তাকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ দুই লক্ষ টাকা এনে দেওয়া জন্য চাপ দেয়। কিন্তু লাবনী কোন টাকা আনতে পারবে না বলে স্বামীকে জানিয়ে দেয়। এর এক পর্যয়ে বৃহস্পতিবার রাতে লাবনীর প্রসব বেদনা উঠলে তাকে আজ শুক্রবার সকালে শ্রীপুরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। যেখানে ক্লিনিকের হাতুড়ে ডাক্তার ডেলিভারীর সময় নবজাতকটির হাত-পা ভেঙ্গে মাথা উল্টো হত্যা করে। একইভাবে প্রসুতিকে হত্যার জন্য তার জরায়ুরসহ পেটের নারী-ভুড়ি ছিড়ে ফেলে। খরব পেয়ে বাবার বাড়ির লোকেরা তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মমতাজ মজিদ নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রসুতি লাবনীর অবস্থা আশংকাজনক। অভিযুক্ত স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। নবজাতকের ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
×