ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের স্লুইজগেট ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন

প্রকাশিত: ০১:৩৯, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের স্লুইজগেট ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঘটখালী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর নির্মিত ঘটখালী খালের স্লুইজগেটটি জোয়ারের পানির চাপে ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে ওই এলাকার ২০ হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগে পরেছে। দ্রুত স্লুইজগেট নির্মাণ করা না হলে আমন ও বরি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ওই বাঁধ দিয়ে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে। জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম ঘটখালী গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর নির্মিত ঘটখালী খালে ১৯৭২ সালে দু’ব্যান্ডের স্লুইজ নির্মাণ করে। ওই স্লুইজ দিয়ে চাওড়া ইউনিয়নের পানি নিস্কাশন হয়। গত দু’মাস ধরে ওই স্লুইজটির বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের মাটি জোয়ারের পানির তোড়ে সরে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে জোয়ারের পানির প্রবল চাপে স্লুইজটি ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে ওই এলাকার বৈঠাকাটা, বেতমোড়, গিলাতলী, ঘটখালী, পশ্চিম ঘটখালী, বাঁশতলা, চালিতাবুনিয়া ও পাতাকাটা গ্রামের ২০ হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগে পরেছে। জোয়ারের পানিতে ওই এলাকার বাড়ী-ঘর আমনের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। দ্রুত স্লুইজগেট নির্মাণ করা না হলে লবনাক্ত পানি ঢুকে আমনের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও রবি ফসল চাষাবাদের অনুপোযোগী হয়ে পরবে বলে জানান কৃষকরা। শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর নির্মিত দু’ব্যান্ডের স্লুইজটি ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। স্লুইজের ধ্বংষাবশেষ নদীতে পরে আছে। স্থানীয় লোকজন সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় আবদুল গনি আকন, মোশাররফ হোসেন জোমাদ্দার ও আবদুল খালেক বলেন জোয়ারের প্রবল চাপে বৃহস্পতিবার রাতে স্লুইজগেট ভেঙ্গে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। শাহিনুর বেগম বলেন “সুলিজ ভাইঙ্গা মোর ঘর বাড়ী তলাইয়্যা গ্যাছে, মুই এখন পোলাপান লইয়্যা আবাসনে উঠছি”। আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন স্লুইজ গেটে ভেঙ্গে এলাকার ঘরবাড়ী ও আমনের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অতি দ্রুত স্লুইজগেট নির্মাণ করা না হলে ক্ষেতে লবানাক্ত পানি ঢুকে পলি জমে আমনের ব্যাপক ক্ষতি ও রবি ফসল চাষাবাদ না করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমতলী কৃষি অফিসার এসএম বদরুল আলম বলেন দ্রুত স্লুইজগেট নির্মাণ করা না হলে লবনাক্ত পানি ঢুকে ওই এলাকার ২ হাজার একর জমির আমনের ফসলের ক্ষতি ও রবি ফসল চাষাবাদের অনুপোযোগী হয়ে পরবে । আমতলী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী মোঃ আলমগীর কবির বলেন স্লুইজগেট এলাকা পরিদর্শন করেছি। স্লুইজের বর্তমান অবস্থা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মশিউর রহমান বলেন বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে স্লুইজ গেট নির্মাণের জন্য প্রকল্প দেয়া হয়েছে।
×