ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অপরাধে ১২ পরীক্ষার্থীকে কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অপরাধে ১২ পরীক্ষার্থীকে কারাদণ্ড

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অপরাধে ১২ ভর্তি পরীক্ষার্থীকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার সকালে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। সেখানে অভিযুক্তদের জবানবন্দির ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহি তাদেরকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তদের প্রথমে শাহবাগ থানায় পুলিশের হেফাজতে দেন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে সেখান থেকে তাদেরকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে থানাসূত্রে জানা গেছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন নারী পরীক্ষার্থী রয়েছে। বাকিরা হলেন- আল ইমরান, শাহ পরান, আবুল বাশার, নাহিদ হাসান, তানভীর হোসাইন, রফিকুল ইসলাম, খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম, এস এম জাকির হোসাইন, আবু হানিফ ও নূরে আলম। এদের মধ্যে নূরে আলমের কাছে মুঠোফোন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বাকি সবার কাছে এটিএম কার্ডের মতো একটি যন্ত্র পাওয়া গেছে। ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী বলেন, এটিএম কার্ডের মত যন্ত্রটির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ করা যায়। তারা কানের মধ্যে একটি ছোট আকারের হেডফোন লাগিয়ে রেখেছিলেন এবং বাইরে থেকে কেউ প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছিল। গতকাল রাতে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের তৎপরতার কারণে এদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। এদের সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পরীক্ষা চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজয়েট কলেজ, আহমেদ বাউয়ানি একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ থেকে দুজন করে এবং মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবন থেকে একজন করে আটক করা হয়েছে। এদিকে, দণ্ডপ্রাপ্তদের ছবি তুলতে গিয়ে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাপার্সন ও রিপোর্টারকে লাঞ্ছিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এম আমজাদ আলী। পরে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার জন্য প্রক্টর তার নির্ধারিত বক্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিন বলেন, সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন মেয়ে আছে। তাদের কথা চিন্তা করে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ক্যামেরাম্যানকে ফুটেজ না নিতে বলেছিলাম। এ নিয়ে কথাকাটির সময়ও রেকর্ড করার জন্য এ ঘটনা ঘটে গেছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৬৫টি আসনের বিপরীতে ৮৯ হাজার ৫০৬জন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ ক্যাম্পাসের বাইরের মোট ৮৭টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
×