ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে ডিআইজির কাছে দারোগার বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ

প্রকাশিত: ২২:৫০, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

বরিশালে ডিআইজির কাছে দারোগার বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) উত্তম কুমারের অপসারণের দাবি তুলেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বরিশালের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলামের সামনে মুলাদী থানা চত্বরে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে এ দাবি করা হয়। ওই সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ অভিযোগ করে বলেন, ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই উত্তম কুমার দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন অজুহাতে জেলেদের কাছ থেকে মাসোয়ারা আদায় করে আসছে। সর্বশেষ প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গত ১ থেকে ২২ অক্টোবর ইলিশ ধরা বন্ধ রাখার সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাসোয়ারার জন্য জেলেদের একপ্রকার জোর করেই ওই এসআই নদীতে মাছ ধরতে বাধ্য করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান আরও অভিযোগ করেন, গত ৯ অক্টোবর জয়ন্তী নদীতে একদল জেলে মা ইলিশ নিধনের সময় এসআই উত্তম কুমার প্রকাশ্যে জেলেদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে নিরাপদে মাছ ধরার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ট্রলার নিয়ে নদীতে টহল দেন। বিষয়টি জানতে পেরে সফিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি এসআই উত্তমের কাছে জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই উত্তম ইউপি চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গ্রেফতারের হুমকি প্রদর্শণ করে। এছাড়াও গত ১০ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে ইলিশ নিধনরোধে পরিচালিত অভিযানে মৎস্য অফিসারের ওপর হামলার ঘটনায়ও এসআই উত্তম কুমারের ইন্ধনের অভিযোগ করা হয়। উল্টো ওই হামলার ঘটনায় এসআই উত্তমের মদদে তার কথিত দালালরা পূর্ব শত্রুতার জেরধরে চরভেদুরিয়া গ্রামের সালাম মুন্সী, তার পুত্র রাজিব মুন্সী, জহির মুন্সীসহ নিরিহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করিয়েছেন। ওই মামলা থেকে নাম কর্তনের আশ্বাস দিয়ে এসআই উত্তমের সহযোগীরা (দালাল) নিরিহ গ্রামবাসীর কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে থানা চত্বরে অনুষ্ঠিত ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দ্রুত ফাঁড়ির ইনচার্জ উত্তম কুমারের অপসারণসহ হয়রানীর উদ্দেশ্যে মামলায় জড়ানো নিরিহ গ্রামবাসীদের নাম মামলা থেকে কর্তনের জোর দাবি করেন। তাৎক্ষনিক ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
×