ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

জাতীয় জাদুঘরে ‘তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে’ আবৃত্তি অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ১৩ অক্টোবর ২০১৭

জাতীয় জাদুঘরে ‘তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে’ আবৃত্তি অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাঙালীর যাপিত জীবনে রবীন্দ্রনাথ একইসঙ্গে চিরকালীন ও চিরনূতন। আপন সৃষ্টির ঐশ্বর্যে বিশ্বকবি বারবার আবির্ভূত হন নবরূপে। সমকালের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতায় হাজির হয় কবিগুরুর শিল্প ও সাহিত্য। তেমন করেই তিনি হাজির হলেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। কবিতার আশ্র্রয়ে অনুরাগীদের মননকে আলোড়িত করলেন রবীন্দ্রনাথ। জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো ‘তুমি নব নব রূপে’ শীর্ষক আবৃত্তি অনুষ্ঠান। ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রবীন্দ্র একাডেমি। বাংলাদেশ ও ভারতের দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীদের পাশাপাশি দুজন শিশু শিল্পীর পরিবেশনা মুগ্ধতা ছড়িয়েছে শ্রোতা-দর্শককে। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির সভাপতি কবি আজিজুর রহমান আজিজ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন একাডেমির সহ-সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী। আজিজুর রহমান বলেন, বাঙালীর প্রাত্যহিক জীবনে সকল অনুভবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তার সকল সৃষ্টি এগিয়ে চলার প্রেরণা যোগায় আমাদের। বুলবুল মহলানবীশ বলেন, রবীন্দ্রনাথকে দেখতে চাই পরিপূর্ণভাবে। শুধু গান, কবিতা নয়। রবীন্দ্রনাথ তার কর্মে মানবতাকে স্থান দিয়েছেন সবার ওপরে। অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, অজ্ঞানতা, লোভ, হিংসা-বিদ্বেষের অচলায়তন ভেঙ্গে দিয়ে কল্যাণ ও আনন্দের মুক্তধারা ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আলোচনা শেষে ছিল আবৃত্তি পরিবেশনা। কবিতা আবৃত্তি করেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, কাজী মদিনা, ভারতের ত্রিপুরার শিল্পী মনীষা পাল চৌধুরী ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও অনুভব ও রিমঝিম নামের দুই শিশু শিল্পী পাঠ করেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা। প্রাঙ্গণেমোর নাট্যসপ্তাহ শুরু দর্শকনন্দিত নিজস্ব সাতটি নাটক নিয়ে নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর আয়োজন করেছে নাট্যসপ্তাহ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এ উৎসবের সূচনা হয়। উৎসব উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী সারা যাকের। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঞ্চস্থ হয় নূনা আফরোজ রচিত ও নির্দেশিত নাটক ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’। আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে একই ভেন্যুতে চলবে এ নাট্য আয়োজন। উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হবে সৈয়দ শামসুল হক রচিত ও অনন্ত হীরা নির্দেশিত নাটক ‘ঈর্ষা’। এছাড়া এই নাট্যসপ্তাহের বাকি দিনগুলোয় মঞ্চস্থ হবে ‘শ্যামাপ্রেম’, ‘শেষের কবিতা’, ‘বিবাদী সারগাম’, ‘আওরঙ্গজেব’, ‘কনডেমড সেল’। গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের আয়োজনে ৬ অক্টোবর থেকে চলছে দশদিনের ৭ম গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হলে চলছে নাট্য মঞ্চায়ন এবং মূল মিলনায়তনের সামনের মুক্তমঞ্চে চলছে সাংস্কৃতিক আয়োজন। বৃহস্পতিবার উৎসবের সপ্তম দিনে মুক্তমঞ্চের অনুষ্ঠানে পথনাটক পরিবেশন করে নাট্য নন্দন ও মূকাভিনয় পরিবেশন করে চট্টগ্রামের প্যান্টোমাইম মুভমেন্ট। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে মুক্তবাক ও ত্রিলোক বাচিক পাঠশালার বাচিকশিল্পীরা। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে বহ্নিশিখা ও খেলাঘর। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাক্ষ ও বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস। এর পর ছিল নাট্য মঞ্চায়ন। জাতীয় নাট্যশলার মূল মিলনায়তনে নাগরিক নাট্যাঙ্গন বাংলাদেশ ‘গহর বাদশা ও বানেছা পরী’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র ‘চম্পাবতী’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে ভিশন থিয়েটার মঞ্চস্থ করে ‘গালিভারের সফর’। আজ শুক্রবার বিকেলেও থাকছে সাংস্কৃতিক আয়োজন। মঞ্চ নাটক শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়। আজ মঞ্চস্থ হবে লোক নাট্যদল (সিদ্ধেশ্বরী)-এর ‘কঞ্জুস’, থিয়েটারের ‘মুক্তি’ এবং থিয়েটার স্কুল প্রাক্তনী পরিবেশন করবে ‘প্রথম পার্থ’।
×