স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদসহ ৮জনের পৃথক দুই মামলায় পাঁচদিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী এ রিমান্ডের আদেশ দেন ।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া অপর ৭ আসামি হচ্ছেন, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডঃ শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর আমির মোহাম্মদ শাজাহান, সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলার আমির জাফর সাদেক, সেক্রেটারি জেনারেলের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল ইসলাম ও মোঃ সাইফুল ইসলাম। এর আগে অস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সাজু মিঞা প্রত্যেক মামলায় আসামিদের ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কদমতলী থানাধীন বিক্রমপুর গার্ডেন সিটির ৪৪২/২ পূর্ব ধোলাইপাড়ের বাসার ৭ তলায় আসামিরা গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। ১০ আসামি গ্রেপ্তার হলেও উক্ত আসামিরা পালিয়ে যায়। আসামিরা গোপনে মিলিত হয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি সাধনসহ দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অন্তর্ঘাতমূলক কার্য সম্পাদন ও জ্বালাও পোড়াও পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনার জন্য একত্রিত হয়েছিল বলে সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। তাই আসামিদের সঙ্গে আর কে কে উপস্থিত ছিল তা জানার জন্য এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। তার সাথে ছিলেন এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সালমা হাই টুনী ও প্রমুখ আইনজীবী। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আব্দুর রাজ্জাক, এস এম কামাল উদ্দিন, ঢাকা বারের সভাপতি খোরশেদ আলম, সানাউল্লাহ মিয়া, সাইফুর রহমান প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের শুনানি করেন।
শুনানি শেষে বিচারক বলেন, মামলার গুরুত্ব ও প্রকৃতি বিবেচনায় জামিন নামঞ্জুর করে পৃথক দুই মামলায় প্রত্যেকের পাঁচদিন করে দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো। এর আগে সোমবার রাত ৯টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।