ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিকিউরিটিজ কনসালটেন্ট মামলায় আসামিদের জামিন

প্রকাশিত: ০১:০৩, ১০ অক্টোবর ২০১৭

সিকিউরিটিজ কনসালটেন্ট মামলায় আসামিদের জামিন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারীতে দায়ের করা সিকিউরিটিজ কনসালটেন্ট মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আমিরুল ইসলাম চৌধুরী। মঙ্গলবার শেয়ারবাজার বিষয়ক বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তিনি এ সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ মামলার আসামীরা হলেন-সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস ও এর তৎকালীন পরিচালক এমজি আজম চৌধুরী, মো. শহীদুল্লাহ ও অধ্যাপক মাহবুব আহমেদ। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার আসামী এমজি আজম চৌধুরী ও মো. শহীদুল্লাহের পক্ষে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফতেখার জুনায়েদ, অ্যাডভোকেট নোমান মাহমুদ মিয়া ও ব্যারিস্টার সাইমুন সাদি জামিন আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। তারও আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর অপর আসামী প্রফেসর মাহবুব আহমেদ জামিন নিয়েছেন। সবাই স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা খান বলেন, মঙ্গলবার সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস মামলায় সাক্ষী আমিরুল ইসলাম চৌধুরীর সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হয়েছে। মামলার চার্জশীট সূত্রে জানা গেছে, আসামীরা ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টসের পক্ষে শেয়ারবাজারকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে বিধিবর্হিভূত বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেন। যারা বেআইনীভাবে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শেয়ার ব্যবসায় করে। আসামীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিভিপি’র মাধ্যমে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেন দেখায়। যা ছিল অনিষ্পন্ন। যার কোন রেকর্ড ডিএসইতে নাই। মূলত তারা লেনদেন না করেও করেছে বলে অবৈধভাবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে আসামীরা বাজারকে প্রভাবিত করে। যা ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের সেকশন ১৭(ই) (২) (৫) অনুযায়ি বেআইনী। একইসঙ্গে এই অধ্যাদেশের ২৪ ধারা অনুযায়ি শাস্তিযোগ্য। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে শেয়ার কেলেঙ্কারীতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস, পরিচালক এমজি আজম চৌধুরী, মো. শহীদুল্লাহ ও অধ্যাপক মাহবুব আহমেদের বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করে। এরপরে মামলাটি ১৯৯৯ সালে মহানগর দায়রা জজ কোর্টে স্থানান্তরিত হয়। যা সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি শেয়ারবাজার বিষয়ক ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবে মামলাটি এখানে শুরু থেকেই উচ্চ-আদালতের নির্দেশে স্থগিত ছিল। উল্লেখ্য আসামীরা স্ব-উদ্যোগে ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচার কাজ চালু করেছে। যা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ-আদালতের নির্দেশে স্থগিত ছিল।
×