ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডাঃ উজ্জ্বল কুমার রায়

শরতের দুর্গা, বসন্তের বাসন্তী অতঃপর বাঙালীর শারদীয় উৎসব

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

শরতের দুর্গা, বসন্তের বাসন্তী অতঃপর বাঙালীর শারদীয় উৎসব

বাঙালীর শারদীয় উৎসব, সরস্বতী রানী পালের কাহিসা দেবীর লেখায় বাঙালীর শারদীয় উৎসব এর কিছুটা জানা যায়- দুর্গাদেবী। দুর্গাপূজা মহাপূজা। সমস্ত দেবতার তপস্যার সম্মিলিত তেজ থেকে যে মহাদেবীর আবির্ভাব তাঁর পূজাতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ নানাভাবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। পূজার আঙ্গিক এমনই যে পূজার্থী সকল শ্রেণীর মানুষ সকল পূজার্ঘ্য নিয়ে মাতৃচরণে অঞ্জলি দেন। দুর্গাদেবী ভক্তের কেবল ভক্তি নয়, ভালবাসাও পেয়ে থাকেন। তাই মহাতত্ত্বময়ী মহাশক্তি দেবী কালক্রমে ভক্তের কন্যাস্নেহ পেয়ে থাকেন। পিতৃগৃহে কন্যার আগমনে আনন্দের আবহ এবং পিতৃগৃহ থেকে কন্যা বিদায়ের বেদনা বাঙালীর গৃহের এক অন্তরঙ্গ ছবি ফুটে ওঠে দুর্গাপূজায়। সুরথ-সমাধিকৃত বসন্তকালের বাসন্তীপূজা শরৎকালে শ্রীরাম চন্দ্রকৃত শারদীয়া দুর্গাপূজায় সম্প্রসারিত হয়েছে এবং কালক্রমে অকালবোধন সংযুক্ত শরৎকালের পূজাই অধিকতর ব্যাপকতা লাভ করেছে। রাজশাহীর তাহেরপুরের রাজা কংস নারায়ণ ষোড়শ শতাব্দীতে প্রায় আট লাখ টাকা ব্যয় করে এই দুর্গাপূজা করেছিলেন। দুর্গাপূজা যেন কলির অশ্বমেধ যজ্ঞ বিপুল ব্যয় সাধ্য উৎসব। সামান্ত যুগের বিত্তশালী জমিদারদের গৃহাঙ্গনে সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ দুর্গাপূজা হতো। আজ রাজতন্ত্র ও সামান্ত যুগের অবসানে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় মুক্ত অঙ্গনে সকলের সর্ববিধ অংশগ্রহণে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্গাপূজার ইতিহাস ও জনজীবনে প্রভাব বিষয়ে গবেষণা করলে বাংলাদেশের সমাজ বিবর্তনের রূপরেখার একটি উজ্জ্বল অংশও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। শ্রী শ্রী দুর্গাপূজায় সুরথ-সমাধিবন্দিতা, শ্রী রামচন্দ্র বোধিত অর্চিতা দেবীরই পূজা করা হয়ে থাকে। প্রতিমা-কাঠামো : সৃষ্টি রাদ্যা মহাশক্তি দুর্গা দেহদুর্গেরও মূলশক্তি। মানুষের দেহও একটি দুর্গবিশেষ। ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম-এই পঞ্চভূতে দেহ নির্মিত। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মাৎসর্ব-এই ষড়রিপু আক্রমণ করে দেহের মূলশক্তি-প্রাণশক্তি। শুধু দেহভা-ে নয়, সমগ্র বিশ্ব ব্রহ্মা-ে প্রাণই শ্রেষ্ঠ। উপনিষদে এই প্রাণেরই জয়গান। প্রাণ ব্রহ্ম সনাতন। প্রাণ তার স্বরূপে বিকশিত হয় সাধনায়। প্রাণশক্তির উদ্বোধন, উপলব্ধিতে সাধক হন মহাশক্তিধর। প্রাণশক্তি সাধন শক্তি বোধগম্য করার জন্য ঋষিরা ব্রহ্মার বিভিন্ন রূপ পরিকল্পনা করে গেছেন। সনাতন ধর্মের পূজানুষ্ঠান সমূহে এবং বিভিন্ন প্রতিমার রূপ কল্পনায় মূলশক্তি আত্মশক্তি, প্রাণশক্তি অনুভব করার ঋষি পরিকল্পনা আত্মজিজ্ঞাসু মানুষের অধ্যাত্ম পথ নির্দেশ। প্রতিমা এবং তাতে পূজা উপলক্ষে লক্ষ্য-আত্মসাক্ষাৎকার। উপনিষদের মহাবাণী ‘আত্মানং বিদ্ধি’ আত্মাকে জানো। দুর্গাপূজারও একই উদ্দেশ্য মহাশক্তির আত্ম সাক্ষাৎকার। পূজাম-পে দুর্গা প্রতিমার দিকে তাকালেই আমরা দেখি, দুর্গা মহারঙ্গিনী। পদতলে মহিষাসুর বিমর্দিত অবলুণ্ঠিত। দুর্গাকে আক্রমণ করেছে সে বিপুলবিক্রমে। দুর্গাবাহন সিংহও আক্রমণ করেছেন মহিষাসুরকে। ভীষণ এই রণরক্ষেও দেবীর মুখে ক্রোধভাব নেই। তিনি প্রসন্নবেদনা। দেবীর শিরোদেশে দেবাদিদেব শিব অধিষ্ঠিত। দেবীর ডানপাশে ঐশ্বর্যদাত্রী দেবী লক্ষ্মী, তাঁর নিচে সিদ্ধিদাতা গণেশ, দেবীর বামপাশে সরস্বতী, তাঁর নিচে দেব সেনাপতি কার্তিক। এই প্রতিমা কাঠামোর মধ্যে মূল দেবীশক্তি দুর্গা। অসুর শক্তিকে পদানত পদলিত করতে পারলেই যেন লাভ করা যায় মহাসুন্দর শিবকে মস্তকের উপরে। দুর্গা সাধনা শক্তি; অন্য কথায় সাধকের প্রতিরূপ। কাঠামোস্থিত অন্যান্য দেবদেবীর প্রতিমা সাধকের সাধন সহায়ক। প্রতিমাসমূহ যোগ প্রতীক। মহালয়া : মহালয়া থেকে দেবীপক্ষ শুরু। মহতের আলয় মহালয়। মহালয়া মানে মহাকুটস্থ দর্শন ক্ষেত্র। মহালয়ার মহাকুটস্থ দর্শন করে সাধক প্রথমা থেকে পঞ্চমী পর্যন্ত তিথিতে ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম-এই পঞ্চভূতকে শোধন করেন ক্রমান্বয়ে। তারপর ষষ্ঠী তিথিতে হয় তাঁর বোধন। দেবির বোধন পুজা সাধকের আত্মবোধনের রূপক। বোধন অনুষ্ঠানে হয় নব পত্রিকা সংস্থাপন। নব পত্রিকা হচ্ছে মনষষ্ঠ অবস্থা। ষষ্ঠী তিথিতে মনে বোধন হয়। সপ্তমীতে বুদ্ধি জয়, অষ্টমীতে অহংকার জয়, অষ্টম অবস্থার পরে উত্তরণ। তাই করতে হয় অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিরগ্নে সন্ধিপূজা। নবমীতে নবম অবস্থা-অহংবোধ বিনাশের পরবর্তী স্তর। দশমীতে দশম অবস্থায় পূর্ণ বিজয়। দুর্গা : সাধক গুরুপদিষ্ট হয়ে সাধন রূপ ভজন শুরু করলেই দেহস্থ বাধা দেবার জন্য ছুটে আসে রিপুসমূহের প্রতীক। রিপু-অসুরেরা চায় দেব শক্তির স্বর্গ রাজ্য অধিকার করতে। মাঝে মাঝে সাধন ভ্রষ্ট হয়ে যায় রিপুর তাড়নায়। তখন অসুরেরা অধিকার করে স্বর্গরাজ্য। আবার শুরু হয় দেবাসুর সংগ্রাম। কখনও কখনও দেবতারা পরাজিত হয়ে সমবেত সাধনা করেন। তখন তাঁদের তপস্যার তেজ থেকে উদ্ভূত হন দেবী। ‘সমস্ত দেবানাং তেজোরাশি সমুদ্ভাবাম’-সমস্ত দেবতার সম্মিলিত তেজ থেকে আবির্ভূতা দেবী তখন অসুর বিনাশ করেন। অসুর বিনষ্ট হলেই দেবতারা পুনরায় স্বর্গের অধিকার ফিরে পান। দেবী দুর্গার দশহাত : দেবী দুর্গার দশহাত (পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ-ঈশান-বায়ু-অগ্নি-নৈঋত-উর্ধ্ব:অধ:) রক্ষা করার প্রতীক। দশদিকের কোন দিকের আক্রমণ যেন সাধনায় বিঘœ না ঘটায় সেই প্রচেষ্টা। দশ প্রহরণ এক এক দেবতার সাধন শক্তি লব্ধ বিভূতি। শ্রী শ্রী চ-ীতে দেখা যায়, দেবীকে দেবতারাই দিয়েছিলেন সেই সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র। সাধক সাধনায় লাভ করেন সেই সকল অস্ত্রশস্ত্র। অস্ত্র লাভ তাঁকে করতেই হবে। নতুবা দেহস্থ অসুর নাশ করা সম্ভব হবে না। দুর্গা যুদ্ধেও প্রসন্নবদনা : ঘোর সাধন সংগ্রাম রত থাকলেও ক্ষণে ক্ষণে যে ঐশ্বর্য (বিভূতি) তিনি লাভ করেন তাতে তাঁর মুখে স্বর্গীয় প্রশান্তি ফুটে ওঠে। এই প্রসন্নতা তারই প্রতীক। দেবী ত্রিভঙ্গ : এই ত্রিভঙ্গি ত্রিগুণাত্মিকা শক্তির প্রতীক-ঈড়া নাড়ীতে রজ, পিঙ্গলা নাড়ীতে তম এবং সুষুক্ষা নাড়ীতে সত্ত্বগুণ সাধনার ভাবদ্যোতক। তিনি ত্রিগুণময়ী আবার ত্রিগুণাতীতা। দেবী ত্রিনয়নী : একটি নয়ন চন্দ্র স্বরূপ, আর একটি সূর্য স্বরূপ, তৃতীয়টি অগ্নি স্বরূপ। তার ত্রিনয়নের ইঙ্গিতেই নিয়ন্ত্রিত হয় ত্রিকাল। চন্দ্রালোকে রাতে, সূর্যালোকে দিনে এবং অগ্নির আলোকে দিবা রাত্রীর সন্ধিস্থল সন্ধ্যায় ও উষায় দেখি। দেবীর সৃষ্টি সর্বকাল বিস্তারী, দেবী সর্বদ্রষ্টী। ত্রিনয়ন তার প্রতীক। দেবী জটাজুটধারী : এই জটা বৈরাগ্যের প্রতীক শিরোস্থ পবনের প্রতীক। তিনি অর্দ্ধেন্দু শেখর। অর্দ্ধচন্দ্র তার কপালে আছে। অর্দ্ধচন্দ্র স্বর্গীয় অধ্যাত্মা শান্তি প্রাপ্তির প্রতীক। তিনি মহাজ্যোতিময়ী। মহাজ্যোতি মহাকুটস্থে দেখা যায়। আকাশে সহস্র সূর্যের প্রভা যদি এককালে উদিত হয় তবে তা সেই মহাত্মার প্রভার সাদৃশ্য হতে পারে। মা নব যৌবন সম্পন্না : পীনোন্নত পরোধরা। সাধন শক্তি নব যৌবন শক্তির মতই তেজ-বীর্যময়। এর কোন বার্ধক্যজনিত জীর্ণাবস্থা হয় না। মা বিশ্বের সকল সন্তানের লালন পোষণকারিণী। উন্নত পয়োধর মাতৃত্বের প্রতীক, সাধকের জন্য অমৃতবর্ষী। দেবী নানাস্কার ভূষিতা : এ সমস্ত উজ্জ্বল অলংকার, দেবীর শক্তির বিভূতির প্রতীক। যে দেবতা যে অলংকার দিয়েছেন তিনি সেই বিভূতির অধিকারী। দেবী সিংহবাহনা : সিংহ পশুরাজ। তামসিক পশুশক্তির অধিপতি সিংহ। সাধন সমরকালে দেহস্থ পশুশক্তিও সাধকের সহায়ক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। হিমালয়ের দেওয়া সিংহ দেবীর অনুগত পশুশক্তির প্রতীক, যা দেবকার্যে সহায়তা করে। তাই দেখা যায় সিংহ দেবীর পক্ষে মহিষাসুরকে আক্রমণ করে। মহিষাসুর : দেহস্থ প্রবল রিপুর প্রতীক। মহীকে যে কামনা করে সে মহিষ। অর্থাৎ পৃথিবীতে যার উগ্র ভোগাকাক্সক্ষা আছে সেই মহিষাসুর দেবীর উদ্ভব মাত্রই দেবীকে আক্রমণ করার জন্য সসৈন্য ছুটে আসে। সাধনকালে দেহে দেবীশক্তি জাগ্রত হলেই ইন্দ্রীয় তাকে গ্রাস করতে যায়। তখনই শুরু হয় সংগ্রাম। তাই দুর্ধর্ষ সংগ্রামে পরাজিত হয় উগ্র ইন্দ্রীয় শক্তি। দুর্গা পূজায় দেবীর তাই জয়, পরাজয় অসুরের। জয়লাভ করে দেবী হন বিজয়া। দেবী অপরাজিতা। মহিষাসুর রজঃগুণের প্রতীক। তাই দেবীর রজঃগুণ নির্দেশক বাম পা মহিষাসুরের বুকে স্থাপিত। দেবীর তমগুণ নির্দেশক ডান পা স্থাপিত সিংহের উপরে। শিব : অধিষ্ঠিত সর্বোপরি। শিব মঙ্গল ও স্থিরত্বের প্রতীক। শিব ক্রিয়াতীত, শুভ্র, নিত্য, নিরঞ্জন। শিব সত্য সুন্দর। শিব পূজা হয় লিঙ্গে। যাতে সবকিছুরই লয় তাই লিঙ্গ। শিব বৃষবাহন। বৃষ ক্রোধের প্রতীক। ক্রোধ অবদমিত এবং বীর্যে রূপান্তরিত হয়ে সাধন সহায়ক হয়। গণেশ : দুর্গার সন্তান। কিন্তু গর্ভজ সন্তান নন। গণেশ স্থির সাধক। সিদ্ধ এবং সিদ্ধিদাতা। মূষিক গণেশের বাহন। মূষিক অবিরাম অবিশ্রান্ত কাটতে থাকত। মূষিককে কিছুতেই কোথাও বন্দী করে রাখা যায় না। সে বন্ধন ছেদন করে মুক্ত হয়ে যায়, মূষিক গণেশরূপী সাধকের বাহন অর্থাৎ সহায়ক প্রতীক। মুষিক বন্ধন মুক্তির প্রতীক। কার্তিক : দুর্গার সন্তান। কিন্তু গর্ভজ সন্তান নন। দেব সেনাপতি, সমস্ত দেবশক্তির পরিচালক। স্থির সাধক গণেশের মধ্যে সাধনার ফলে যে সকল দেবশক্তি জাগ্রত হয় সেগুলো সাধনামুখী কারণ কার্তিক শক্তি। কার্তিকের অস্ত্র ধনু। বাহন ময়ূর সেনাপতির কামভাবহীনতা ও অন্তরঙ্গ বিশেষ জ্যোতি দর্শনের প্রতীক। সরস্বতী : বিমল বিশুদ্ধ জ্ঞানের প্রতীক। তার শুভ্র বসন জ্ঞানের নির্মল শুভ্রতার নির্দেশক। তিনি বীণা ও পুঙ্কবাধারিণী। সরস্বতী হংস বাহন। হংস হচ্ছে প্রাণ। হংস সার গ্রহণ করে অসার ত্যাগ করে। লক্ষèী : ঐশ্বর্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবীরূপে কথিত। এই ঐশ্বর্য আধ্যাত্মিক যোগ কমললব্ধ ঐশ্বর্য বিভূতি। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচাকে স্থিতাবস্থা ও অন্ধকারেও আত্মজ্যোতি দর্শনের ক্ষমতা নির্দেশিত। মহাশক্তির জাগরণ : দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বী জনগণের ধর্মীয় উৎসব। আশ্বিনের শুষ্কা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত একটানা পাঁচদিন উৎসবের অনুষ্ঠান জনমনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। মহাশক্তি আনন্দময়ীর জাগরণে আগমনে মহানন্দ শক্তির বিশ্বব্যাপী মহালীলা অনুভব করার মহা শুভক্ষণ আসে আমাদের জীবনে ও সমাজে। পূজাম-পে মহাশক্তি দুর্গাকে আমরা দেখি রণরঙ্গিনী রূপে। দুর্গাপূজা করা হয় দুর্গতি নাশের জন্য। মহাশক্তি দুর্গাপুর পূজা করে সাধক আত্মবলে বলীয়ান, মহাশক্তির অধিকারী, মহাসত্যের অধিকারী হয়। সনাতন ধর্মের সকল পূজাকর্মে ও দেবদেবীর প্রতীমা রূপায়ণে আত্মোপলব্ধি তথা ব্রহ্মোপলব্ধির ইঙ্গিত করা হয়েছে। দুর্গাপূজায়ও সেই শক্তি অর্জনের নির্দেশ। এখানেই দুর্গাপূজার তাত্ত্বিক রহস্য। যে দেবী সর্বজীবে শক্তিরূপে বিরাজিতা তাঁকে বার বার প্রণাম। চ-ীর উত্তম চরিত্রে ‘শুভ নিশুম্ভ বধ’ অধ্যায়ে দেবতারা দেবীকে চেতনা, বুদ্ধি, নিদ্রা, ক্ষুধা, ছায়া, শান্তি, তৃষ্ণা, শান্তি, লজ্জা, শ্রদ্ধা, ক্লান্তি, লক্ষèী, বৃত্তি, স্মৃতি, দয়া, তুষ্ট রূপে কল্পনা করেছেন। অন্য কথায় সমগ্র বিশ্বব্যাপী সকল শক্তির সৃষ্টিকারিণী মহাশক্তিকে প্রণাম জানিয়েছেন। মাতৃচরণে সকলের জন্য কল্যাণ প্রার্থনা করি। জয় মা মহাশক্তি। লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব
×