ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সর্বোচ্চ সম্মান যেন পান অগ্রজরা

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সর্বোচ্চ সম্মান যেন পান অগ্রজরা

গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় গোটা পৃথিবীতে ষাটোর্ধ মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে ষাটোর্ধদের সংখ্যা ছয় শ’ মিলিয়ন থেকে দুই বিলিয়ন পর্যন্ত পৌঁছাবে। এ নিয়ে উন্নত বিশ্বের চেয়ে উন্নয়নশীল বিশ্ব চার গুণ বেশি সমস্যায় পড়বে। দ্বিতীয় বিশ্ব বয়স্ক সম্মেলনে তখনকার জাতিসংঘ মহাসচিব কোফি আনান এ তথ্য জানিয়েছিলেন। আরও জানিয়েছিলেন, ষাটোর্ধ বয়স্কদের মধ্যে জেন্ডার বৈষম্যের কারণে পুরুষের চেয়ে নারীদের অবস্থা বেশি নাজুক হবে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে। এবং গড় আয়ু বেশি হওয়ায় নারী বয়স্কদের সংখ্যা বেশি হবে অথচ বয়স্কদের মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে কোন সনদ বা আইন নেই। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া। এটা নিঃসন্দেহে চিকিৎসা শাস্ত্রের অন্যতম সাফল্য। পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও এ সাফল্যের ছোঁয়া লেগেছে। আশির দশকের মাঝামাঝিতে দেশের চিকিৎসা জগতে মোটা দাগে তিনটি ভাগ ছিল মেডিসিন, সার্জারি ও গাইনি। এখন শুধু সার্জারিতেই কমপক্ষে পঞ্চাশটা সুপার স্পেশালিটি তৈরি হয়েছে। তার মানে নতুন কনসেপ্ট, নতুন প্রযুক্তির চর্চা ও প্রসার ঘটছে। নব্বই দশকের মাঝামাঝিতেও সাধারণ এনজিওগ্রাম করাতে দেশের বাইরে যেতে হতো। এখন শুধু ঢাকাতেই সরকারী- বেসরকারী মিলে অন্তত বিশটি সেন্টার আছে যেখানে এনজিও গ্রামের সুবিধা রয়েছে। ঢাকার বাইরেও আছে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান। বাইপাস ওপেন হার্ট সার্জারি অপারেশন অনায়াসে হচ্ছে। ভাল্ব রিপ্লেস, হার্টের কনজেনিটাল ডিফর্মেটি বা জন্মগত ত্রুটি, জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট আর্থ্রোস্কোপিক সার্জারি, এ্যান্ডোস্কোপিক সার্জারি ইত্যাদি অপারেশন খুবই সফলতার সঙ্গে হচ্ছে। কিডনি ও লিভার ট্রান্সপ্লান্টের মতো জটিল প্রক্রিয়ার সাফল্য অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। কিডনি প্রতিস্থাপনে সাফল্যের হার বাড়ায় রোগীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা অনেক কমেছে। বিদেশগামী শতকরা সত্তর ভাগ রোগী এখন দেশে চিকিৎসা করাচ্ছেন। অনেক কম খরচে তারা বিদেশের উন্নত চিকিৎসা দেশে পাচ্ছেন। আমাদের দেশে বয়স্ক নারীরা যতদিন কর্মক্ষম থাকেন পরিবারে কোননা কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। এসব কাজের কোন স্বীকৃতি তাঁরা পান না। বেশ কিছুকাল ধরে বয়স্ক নারীদের ওপর অন্য ধরনের দায়িত্ব বর্তেছে। দেখা যায় মা-বাবা বিদেশে যাচ্ছেন, সন্তানদের রেখে যাচ্ছেন নানী, দাদি বা খালা, ফুফুদের কাছে। একটি সন্তান দেখাশোনার দায়িত্ব বিশাল। কিন্তু এ কাজের জন্য তাঁদের কোন মূল্যায়ন হয় না। গ্রাম অঞ্চলে বয়স্ক ভাতা হিসেবে যা দেয়া হয় তা নিতান্ত অপ্রতুল। তাদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুবিধা নেই। বয়সের ভারে যাঁরা বাড়ির বাইরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন না তাঁদের বাড়িতে এসে চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রায়ই দেখা যায়, মেনোপজের পর আমাদের দেশের নারীরা পরিবারে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে পড়েন। যারা চাকরি করেন সাতান্ন বছরে তাঁদের অবসর নিতে হয়। সাতান্ন বছরের পরও অনেকে কর্মক্ষম থাকেন। তাঁরা যাতে তাদের কাজ দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারেন সে জন্য সরকার থেকে নানা ধরনের কর্মসংস্থানমূলক কাজের উদ্যোগ নেয়া জরুরী। সরকার চাইলে তাদের সম্মানসূচক বিভিন্ন কাজ দিতে পারে। প্রবীণ নাগরিকদের সর্বোচ্চ সম্মান দেয়ার কথা প্রথম বলেছিলেন সম্ভবত প্লেটো। তাঁর আদর্শ রাষ্ট্রের দার্শনিক রাজা হবেন জ্ঞানী। কৈশোর থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স পর্যন্ত তাঁরা নানা ধরনের বিদ্যা অর্জন করবেন। সব বিদ্যায় পারদর্শিতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই শাসক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন। যোগ্যতা অর্জনের এ প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে তাঁরা আসলে বার্ধক্যের কাছাকাছি পৌঁছে যান। প্লেটো সম্ভবত নবীনদের ওপর ভরসা করতে পারেননি। তাঁর শিষ্য এরিস্টটল অন্য অনেক বিষয়ের মতো গুরুর সঙ্গে এ বিষয়েও দ্বিমত করে শেষ পর্যন্ত বলেছেনÑ জ্ঞানী বা প্রজ্ঞাবান হতে হলে যে কাউকে অন্তত পঞ্চাশ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। প্রাজ্ঞরাই জীবনের সুখ-দুঃখ, চড়াই-উৎরাই মোকাবেলা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে শারীরিক সুস্থতার ওপর জোর দেন তিনি। তাঁর মতে পঞ্চাশের পর দেহ সুস্থ না থাকলে প্রাজ্ঞরাও মানসিক বিকারে ভুগতে পারেন। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় বুদ্ধিবৃত্তির চেয়ে শারীরিক শক্তির ওপর জোর দেন তিনি। বুদ্ধি কিংবা শক্তি নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বার্ধক্যে ভালনারেবল হবে কি হবে না অথবা কতটা হবে তা নির্ভর করে অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর। সেক্সপিয়ারের বিখ্যাত ট্রাজেডি কিং লিয়ার-এর কথা পাঠকের মনে আছে নিশ্চয়ই। সেই যে রাজা লিয়ার দুই মেয়ের মধ্যে রাজ্য ভাগ করে দিয়ে বৃদ্ধ বয়সে বিপন্ন হয়ে ঝড়ের রাতে খোলা প্রান্তরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। করডেলিয়া, ঠোঁট কাটা মেয়েটি সত্য কথা বলার জন্য যাকে তিনি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছিলেন শেষ পর্যন্ত সীমাহীন সহানুভূতি নিয়ে সে-ই এসে উদ্ধার করে বাবাকে। বৃদ্ধ বয়সে যাদের তত্ত্বাবধানে থেকে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করবেন ভেবে সব সম্পত্তি ভাগ করে দিয়েছিলেন সেই দুই মেয়ে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছিল বাবাকে। সহানুভূতি বা মানবিক বোধ কোন কিছুই কাজ করেনি তাদের ভেতর। রাজা লিয়ার কপর্দকশূন্য না হলে নিজের মেয়েদের তো বটেই আমৃত্যু রাজ্য জোড়া আরও অনেক শুভাকাক্সক্ষী পেতেন তা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়। প্রবীণ বয়সের বিপন্নতার কথা ভেবে উন্নত দেশগুলো ষাটের ওপর বয়স যাদের সেসব নাগরিকদের সিনিয়র সিটিজেন ঘোষণা দিয়ে তাদের জন্য কল্যাণমূলক নানা ব্যবস্থা নিয়েছে বহু আগেই। প্রবীণদের প্রতি মনোযোগ দেয়ার প্রশ্নটি আমাদের দেশেও বেশ প্রকট হয়ে উঠেছে। তবে এদিকে কিছুটা হলেও সরকারিভাবে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। বছর তিনেক আগে দেশের এক কোটি ত্রিশ লাখ ষাটোর্ধ নাগরিককে জ্যেষ্ঠ নাগরিক ঘোষণা দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আগে থেকেই। দু’হাজার তেরো সালের সতেরো নবেম্বর ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা দু’হাজার তেরো’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়। এরপর জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানকে প্রধান করে একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী এ্যাকশন প্ল্যান করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা এতে বিশেষ সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে সব ধরনের পরিবহনে কম ভাড়ায় যাতায়াত, হাসপাতালে সাশ্রয়ী মূল্যে আলাদা চিকিৎসা সেবা, আলাদা বাসস্থান সুবিধা ইত্যাদি। এ ছাড়াও প্রবীণরা সাধারণত যে সব রোগে ভোগেন যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদির চিকিৎসা সেবা দিতে হাসপাতালগুলোতে জেরিয়াটিক মেডিসিন বিভাগ চালু করার জন্য নব্বই লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আরও বলা হয়েছে সরকারী-বেসরকারীভাবে যেসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে, সেখানে প্যারেন্ট রুম থাকবে। প্রবীণরা শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে ও হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখতে পারেন। এ জন্য তাদের সম্মানী দেয়া হবে। তাঁরা পরিচয়পত্র পাবেন। নতুন আইন করে তার আওতায় প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠন করে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। শিল্পোন্নত দেশে পঁয়ষট্টি বা তারও বেশি বয়সীদের প্রবীণ হিসেবে বিবেচনা করলেও জাতিসংঘের স্বীকৃতি অনুযায়ী ষাট বা তার বেশি বয়সীরা আন্তর্জাতিকভাবে প্রবীণ হিসেবে বিবেচিত হন। বিআইডিএস-এর পরিসংখ্যানে জানা যায়, উনিশ শ’ নব্বই সালে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার চার দশমিক আটানব্বই শতাংশ ছিল প্রবীণ জনগোষ্ঠী। জনসংখ্যা প্রক্ষেপণ অনুযায়ী দু’হাজার পঞ্চাশ সালে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর এই হার হবে শতকরা বিশ ভাগ। অর্থাৎ প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন হবেন প্রবীণ। বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিষেধক বের হওয়া, লাইফস্টাইলে পরিবর্তন ইত্যাদি কারণে মানুষের গড় আয়ু ও কর্মক্ষমতা বেড়েছে। তারপরেও প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে বার্ধক্য আসবেই। একে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এর মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুতিটা তাই রাষ্ট্রীয়ভাবেই থাকা উচিত। বিশেষ করে আমাদের মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশে। কেননা বিত্তবানরা বিত্তের সুবাদে অন্তত কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রবীণ বয়সে ভোগ করলেও বিত্তহীনরা অবর্ণনীয় দুরবস্থায় পড়েন। এ শুধু আমাদের দেশে নয়। সব দেশে সবখানে সব কালে বিত্তের ব্যবধানই মানবিক এবং মানবেতর জীবনযাপনের সীমারেখা টেনেছে। শুধু সমাজতান্ত্রিক দেশ ছাড়া শিল্পায়ন ও পুঁজিবাদের প্রসার ঘটার যুগে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে অতি ধনী ও অতি গরিব প্রবীণদের মধ্যে ধন-বৈষম্য এক ধরনের প্রবীণতন্ত্র জন্ম দিয়েছিল। পুঁজির প্রচ- প্রতাপে উচ্চবিত্ত শ্রেণীর প্রবীণরা ক্রমশ রাজনৈতিকভাবেও ক্ষমতাবান হয়ে উঠেন। সে সময় প্রবীণদের পক্ষেই সম্পত্তির মালিক হওয়া সম্ভব হতো। যথেষ্ট সম্পত্তি যাদের ছিল তারাই ভোটাধিকার পেতেন। অন্যদিকে শ্রমশক্তি হারিয়ে গরিব প্রবীণরা নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতেন। পুঁজিবাদী দেশগুলোয় বিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে ‘সায়েন্টিফিক ম্যানেজমেন্ট অব ওল্ড এজ’ নামে প্রবীণদের সেবা দেয়ার ব্যবস্থাপত্র চালু হয়েছে। যার পিছনে পুঁজির বিশাল চক্র রয়েছে। প্রবীণদের জন্য ওল্ড ভিলেজ চিকিৎসা সেবা ইত্যাদির জন্য চড়া দামে প্রিমিয়াম নিয়ে জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানের রমরমা ব্যবসা চলে সেসব দেশে। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে প্রবীণদের জন্য সহায়ক নানা উপকরণ বের করে মিডিয়ায় চলে প্রচার যজ্ঞ। এসব উপকরণ ও প্রযু্িক্তর ভোক্তা যারা হতে পারেন তারা নিজেদের প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুললেও সমাজের মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। মানবিক সম্পর্কের সঙ্গে যোগাযোগ ক্ষীণ হয়। মানবিক মর্যাদা হারিয়ে টাকার বিনিময়ে শারীরিক আরাম আয়েশ কিনে বেঁচে থাকছেন তাঁরা। কেনার সামর্থ্য যাদের নেই তাদের দিকে রাষ্ট্র হাত বাড়ায় না। দুরবস্থাই তাদের সঙ্গী হয় শেষ পর্যন্ত। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় মানুষের মূল্য নির্ধারণ হয় তার উৎপাদন ক্ষমতার ওপর। উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যায় মানুষ হিসেবে তার যাবতীয় মূল্য। হয়তো সেজন্যই বলশেভিক বিপ্লবের বিরোধী হয়েও শেষ জীবনে কাউন্ট টলস্টয় ব্যক্তিগত সম্পত্তির অবসান চেয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন। নিজের সব সম্পত্তি বিলিয়ে দিয়েছিলেন কৃষকের মধ্যে। এ নিয়ে তাঁর পারিবারিক অশান্তি চরমে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত কিং লিয়ারের মতো ঘর ছাড়েন বৃদ্ধ টলস্টয় এবং মারা যান অখ্যাত এক রেল স্টেশনে। বার্ধক্যে এমন পরিণতি কারোরই কাম্য নয়।
×