ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ॥ রি ইয়ং

প্রকাশিত: ১৮:১১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ ঘোষণা করেছে  ॥ রি ইয়ং

অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এবং হামলা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার পিয়ংইয়ংয়ের আছে বলে দাবি করেছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এমনকি তাদের আকাশ সীমায় না থাকা অবস্থায়ও যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানগুলোকে গুলি করে নামানো হতে পারে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। সোমবার নিউ ইয়র্ক ছাড়ার আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রি ইয়ং; জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন নিউ ইয়র্কেই ছিলেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। শনিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইটে সতর্ক করে বলেছিলেন, হুমকি দেওয়া অব্যাহত রাখলে এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ‘বেশি দিন থাকবে না’; ট্রাম্পের এই বার্তাকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে দাবি করেছেন রি। তিনি বলেন, “পুরো বিশ্ব পরিষ্কারভাবে মনে রাখবে, যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। “যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার সব অধিকার আমাদের আছে, এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বোমারুগুলোকে গুলি করে নামানোর অধিকারও অন্তর্ভুক্ত, এমনকি সেগুলো আমাদের দেশের আকাশসীমায় না থাকলেও। “এরপর ‘কে থাকবে না’ সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে।” সোমবার রিয়ের এই দাবিকে ‘অবাস্তব’ আখ্যায়িত করে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ ঘোষণার কথা অস্বীকার করেছেন। শনিবার যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিমানগুলোর পাহারায় দেশটির বিমান বাহিনীর বি-১বি ল্যান্সার বোমারু বিমানগুলো উত্তর কোরিয়ার পূর্বদিকের আকাশসীমার বাইরে দিয়ে উড়ে গিয়ে শক্তি প্রদর্শন করে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচী নিয়ে কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের উত্তপ্ত বাক্য চালাচালির পর শক্তি প্রদর্শনের এ উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন)। এ বিষয়ে সোমবার পেন্টাগনের মুখপাত্র কর্নেল রবার্ট ম্যানিং বলেছেন, “ওই অভিযানটি আন্তর্জাতিক জলসীমার উপরে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় পরিচালিত হয়েছিল, কারণ বিশ্বব্যাপী আইনতভাবে বৈধ যেকোনো জায়গায় আমরা ওড়ার, জাহাজ চালানোর ও অভিযান পরিচালনা করার অধিকার রাখি।” ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধ শান্তিচুক্তির বদলে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হওয়ায় কাগজেকলমে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এখনও যুদ্ধরতই আছে। যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখণ্ডে পৌঁছানোর মতো পারমাণবিক বোমাযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। চলতি মাসে দেশটি ষষ্ঠবারের মতো এবং এ পর্যন্ত সবচেয়ে বৃহত্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আমান্য করেই দেশটি এসব কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে দখল করে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে এমন অভিযোগ করে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র ও এর এশীয় মিত্রদের ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। সম্প্রতি এমন অভিযোগ, হুমকি ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাল্টা হুমকি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কঠোর হয়ে উঠেছে। ফলে যেকোনো সময় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে।
×