ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পড়াশোনা বিষয় ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির পড়াশোনা বিষয় ॥ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং * জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জীন প্রযুক্তির মূলনীতি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জীন প্রযুক্তির বাস্তবায়নের মূলনীতি হল- * প্রথম ধাপে যে জীবের জীন পরিবর্তন করা হবে সেটি, যে জীবের জীনকে উক্ত জীবের জীনোম গঠনে সংযুক্ত করা হবে সেই জীন এবং বাহক নির্বাচন (ঝবষবপঃরড়হ) করা হয়। এরপর যে জীনটি দ্বারা জীবের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা হবে সেটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় পৃথকীকরণ (ঝবঢ়বৎধঃরড়হ) করা হয়। * দ্বিতীয় ধাপে একটি ডিএনএ এর জীন অন্য একটি জীনে প্রতিস্থাপনের (ঈৎড়ংংড়াবৎ) ক্ষেত্রে দুইটি বিকল্প রয়েছে। কোন বিশেষ স্থান নির্বাচন না করে দৈবচয়নভাবে জীনটি প্রতিস্থাপিত করা হয় অথবা গাণিতিক প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সুবিধাজনকভাবে নির্দিষ্ট স্থানে জীনটি ডিএনএ তে প্রতিস্থাপিত করা হয়। * তৃতীয় ধাপে উক্ত ডিএনএ কে সংশ্লেষণের (ঝুহঃযবংরং) জন্য বিশেষ প্রক্রিয়ায় একটি ব্যাকটেরিয়া কোষে প্রবেশ করানো হয়। সাধারণত ডিএনএ সমূহ মাইক্রোইনজেকশনের মাধ্যমে প্রাণীকোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করানো হয়। * চতুর্থ ধাপে যে ডিএনএ নতুন জীনকে তৈরি করবে সেটিকে একটি ব্যাকটেরিয়াতে রূপান্তরিত করা হয়। এই ব্যাকটেরিয়া গন্তব্য জীবে বিশিষ্ট হয়ে প্রকৃতিগতভাবে নতুন অথবা উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবহবঃরপধষষু গড়ফরভরবফ ঙৎমধহরংস (এগঙ) তৈরি করবে। * জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জীন প্রযুক্তির ভয়াবহতা বা ক্ষতিকর দিক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জীন প্রযুক্তির যেমন অনেক উপকারী দিক রয়েছে তেমনি এর বিভিন্ন ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। এসকল অপকারিতা বিবেচনা করে অনেক দেশ ইতোমধ্যে মানুষের দেহের উপর বিশেষ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কার্যক্রম ও গবেষণা সীমিত করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্নভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউরোপে ইতোমধ্যে অনেক জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফুড এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জীন প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য ভয়াবহতা তথা ক্ষতিকর দিকের মধ্যে রয়েছে- * কোন অসৎ উদ্দেশ্যে জীন প্রকৌশলের মাধ্যমে খারাপ বৈশিষ্ট্যের বিকাশ সাধন করলে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব হুমকীর সম্মুখীন হতে পারে। * রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে জীন প্রকৌশল ব্যবহৃত হলে তা পৃথিবীর জন্য হবে ভয়াবহতম বিপর্যয়। * রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ কোন কারণে নতুন ক্ষতিকর জীনকে সুস্থ জীনে প্রতিস্থাপিত করলে জীবজগতের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। * নিবেশিত জীন অন্য কোন জীনের বা উপাদানের প্রভাবে যদি বিষাক্ত প্রোটিন সংশ্লেষ করতে থাকে তবে জীবদেহে নতুন বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরণের জেনেটিক্যালি মডিফাইড খাবার মানবদেহে বিভিন্ন অনিরাময়যোগ্য রোগেরও সৃষ্টি করতে সক্ষম হতে পারে। * এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট (অহঃরনরড়ঃরপ জবংরংঃধহঃ) কোন জীন যদি কোন রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ায় স্থানান্তরিত হয় তবে উক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে উক্ত রোগের জীবানু ধ্বংসের চেয়ে নতুন রোগের সৃষ্টি করতে পারে। * জীন প্রযুক্তি তথা রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ যে নতুন বৈশিষ্ট্য অর্জন করে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন পরোক্ষ সমস্যা সৃষ্টি করে।
×