ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোতাহার হোসেন

জলবায়ু ঝুঁকি বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জলবায়ু ঝুঁকি বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ

উন্নত বিশ্ব তাদের আরাম, আয়েস ও ভোগ বিলাসের জন্য উন্নয়নের মহাযজ্ঞে লিপ্ত থাকায় প্রতিনিয়ত পৃথিবী নামক উপগ্রহের বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে। সঙ্গে বৈশ্বিক উষ্ণতাও বাড়ছে। পাশাপািশ বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হওয়ায় ক্রমশ মেরু অঞ্চলের বরফ গলে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। এতে জলবায়ুর ওপরও ফেলছে বিরূপ প্রভাব। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশসহ ছোট ছোট দ্বীপরাষ্ট্র ও সমুদ্র উপকূলবর্তী বদ্বীপ অঞ্চলগুলো মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বরফ গলার পাশাপাশি বায়ুম-ল উত্তপ্ত হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন। এই ক্ষতির সিংহভাগ দায় উন্নত দেশগুলোর হলেও ক্ষতিগ্রস্তের তালিকার সামনের দিকে রয়েছে বাংলাদেশসহ ছোট ছোট দ্বীপ তথা উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশসমূহ। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উন্নত দেশগুলো বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেয়ার অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে তা পূরণ করছে না। জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকির প্রধান শিকারে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গোপসাগরের পাড়ে ছোট্ট এই বদ্বীপ রাষ্ট্রটি এমনকি কালের গহ্বরে হারিয়ে যেতে পারে; এমন তথ্যও উঠে এসেছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের গবেষণায়। জাতিসংঘের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২০১৬ সাল ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। এ সময় সমুদ্রের উপরিভাগের জলের তাপমাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল; যা ‘এল নিনো’ হিসেবে পরিচিত। এর ফলে বিশ্বের অনেক জায়গায় অস্বাভাবিক গরম ও শুষ্ক অবস্থা দেখা দেয়, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩৬ কোটি কিলোটন কার্বন-ডাই-অক্সাইড (সিওটু) বায়ুম-লে নিগর্ত করে বিশ্ব। এর প্রায় ২৯ শতাংশ চায়না এবং ১৪ শতাংশের বেশি কার্বন নির্গত করে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সব দেশ মিলে কার্বন নির্গত করে ৯ শতাংশ। ক্লাইমেট চেঞ্জ পারফরমেন্স ইন্ডেক্স (সিসিপিআই-২০১৭) অনুযায়ী, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য বেশি দায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কার্বন নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিশ্ব জলবায়ু রক্ষায় নেয়া কর্মসূচী অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪৩তম এবং চীনের অবস্থান ৪৮তম। জ্বালানি ও জলবায়ু ইস্যু নিয়ে বিশ্বের খ্যাতনামা ২৮০ জন বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় জার্মানভিত্তিক সংস্থা ‘জার্মানওয়াচ’ এবং ইউরোপীয় সংস্থা ‘ক্লাইমেট এ্যাকশন নেটওয়ার্ক (সিএএন)’ যৌথভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সিসিপিআই-২০১৭ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব জলবায়ু রক্ষায় ২০১৫ সালে প্যারিসে একটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু চুক্তির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পরও কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে কোন দেশই কার্যকর কর্মসূচী গ্রহণ করেনি। বায়ুম-লে কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা অর্ধশতাধিক দেশের ওপর এই গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফল অনুযায়ী, কার্বন নিঃসরণের মাত্র কমিয়ে এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের কারণে এবার সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। বিগত ২০১৫ সালে প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলন কপ (কনফারেন্স অব পার্টিজ)-২১ এর আয়োজক এই দেশের স্কোর ৬৬ দশমিক ১৭। সিসিপিআই-২০১৬ অনুযায়ী দেশটির অবস্থান ছিল ৮ম। এবার ৫ম, ষষ্ঠ ও ৭ম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সুইডেন, যুক্তরাজ্য ও সাইপ্রাস। গতবারের তুলনায় সুইডেন এক ধাপ উঠে এসেছে, যুক্তরাজ্য এক ধাপ নিচে নেমেছে আর সাইপ্রাস দুই ধাপ উপরে উঠেছে। ৮ম স্থান দখল করেছে মারাকাশে কপ-২২ আয়োজনকারী দেশ মরোক্ক। গতবার দেশটির অবস্থান ছিল ১০ম। গতবারের চেয়ে দুই ধাপ নিচে নামা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থান ৪৩তম। চীন এক ধাপ নেমে বর্তমানে ৪৮তম স্থানে রয়েছে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু ও উন্নয়ন শীর্ষক সম্মেলন (ইউএনসিইডি) বা ‘রিও আর্থ সামিট’ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এ সংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম শুরু হয়। বায়ুম-লে গ্রীনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কনভেনশন বা ইউনাইটেড নেশন্স ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি)-এর সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে ১৯৯৫ সালে বার্লিনে অনুষ্ঠিত প্রথম কপ (কনফারেন্স অব পার্টিজ) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ মারাকাশে অনুষ্ঠিত হয় কপ-২২। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পূর্ববর্তী সম্মেলনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা। কিন্তু প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন থেকে বিশ্বের শক্তি ও ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ায় অনিশ্চিত হয়েছে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন। এমনি অবস্থায় জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৩ এর পুরো বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির প্রকৃত ভবিষ্যত। আপাতত সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহকে। জলবায়ু বিশ্লেষকরা বলছেন, তিন দশক ধরে জাতিসংঘ সমর্থিত ইন্টার গবর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) ও ইউএনএফসিসিসি কেবল নামের মধ্যেই এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছে। কপ-২১ সম্মেলনে নীতি নির্ধারকদের আলোচনা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য খানিকটা আশার সঞ্চার করেছিল। প্যারিসে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে বারাক ওবামার নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রসহ অংশগ্রহণকারী ১৮৭টি দেশের প্রতিনিধিরা যত দ্রুত সম্ভব কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস কমানোর জন্য সম্মত হন। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কিছু দেশের প্রতিশ্রুতি ও দৃঢ় অঙ্গীকার না থাকা সত্ত্বেও সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা সর্বোচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইউএনএফসিসিসিএর ১৯৭টি সদস্য দেশের মধ্যে ১০৯টি দেশ প্যারিস চুক্তি অনুমোদন করেছে এবং এটি কার্যকর হয়েছে গত বছরের ৪ নবেম্বর থেকে। বাংলাদেশ ২১ সেপ্টেম্বর প্যারিস চুক্তির ‘ইনস্ট্রুুমেন্ট অব রেকটিফিকেশন’ জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে হস্তান্তর করে। বাংলাদেশের প্রদত্ত প্রতিশ্রুতিতে ২০৩০ সাল নাগাদ স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ শতাংশ কম কার্বন নিঃসরণ এবং বিদেশী সহায়তা পেলে আরও ১৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার কথা বলা হয়। এ ছাড়াও বিদ্যুত, যানবাহন ও শিল্প খাতের কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পদক্ষেপ গ্রহণেরও প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়। কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ওপর। এ দুই ক্ষমতাধর দেশের প্রতিনিধিরা যদি বিদ্যুত ও জীবাশ্ম জ্বালানিশক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ডি-কার্বোনাইজ পদ্ধতিকে সক্রিয়ভাবে গ্রহণ করে, তাহলে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমে আসার ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। সর্বশেষ মারাকাসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন কপ-২২ এ বিশ্ব নেতাদের বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তখন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজ দেশের অভ্যন্তরে অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর দেবেন। পরবর্তীতে তিনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন থেকে বেরিয়ে যান। নির্বাচনে জয়লাভ করে চলতি বছর মার্চে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ সংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশে সই করেন। এমন অবস্থায় ১৯৯২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের কিয়োটো প্রটোকল থেকে সরে আসার ফলে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্বকে আরও দুই দশক অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপও কপ-২১ এর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এবং জিসিএফের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী তহবিল সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করবে। ট্রাম্পের ঘোষণা দেখে চীনও সুযোগ নিতে পারে এমন আশঙ্কা করে বিশ্লেষকরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী এশিয়ার এই দেশটি (চীন) যদি জলবায়ু রক্ষার বিষয়ে উদাসীনতা দেখায়, তাহলে কপ-২১ এর ঘোষণা অনুযায়ী ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থ সহায়তার আহ্বানে সাড়া দিতে ১৯৪টি দেশ নিয়ে ইউএনএফসিসিসিএর কানকুন সম্মেলনে ২০১০ সালে গঠন করা হয় গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) বা সবুজ জলবায়ু তহবিল। দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক এই সংস্থাটির লক্ষ্য ছিল কার্বন নিঃসরণে এগিয়ে থাকা উন্নত দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ সহযোগিতা নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা প্রদান করা। তবে এখনও আশানরূপ তহবিল জোগাড় করতে সক্ষম হয়নি জিসিএফ। বাংলাদেশ জিসিএফের অস্থায়ী সদস্য ছিল। বাংলাদেশ নিজ উদ্যোগে নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলার তহবিলের ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের সরকারের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও গৃহীত কর্মসূচীর কারণে বাংলাদেশকে জিসিএফএর স্থায়ী সদস্য হিসেবেও কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়। বর্তমানে জিসিএফের খুব বেশি অর্থ নেই। ২০২০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার তহবিল গঠনের লক্ষ্যে জিসিএফের সদস্য দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। ঝুঁকিতে থাকা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থ সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৮০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এর মধ্যে জিসিএফের তহবিল থেকে এসেছে ৪০ মিলিয়ন। এই টাকা দিয়ে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ এবং এ জাতীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে। লোকাল গবার্নমেন্ট (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়) এসব বাস্তবায়ন করছে। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন একটি বড় সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব লাঘবে আমাদের ভূমিকা খুবই নগণ্য, উন্নত বিশ্বের বড় বড় দেশের ওপরই এটি নির্ভর করে। জলবায়ু তহবিল, টেকনোলজি, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক জলবায়ু প্রশমন হ্রাস সংক্রান্ত বিষয়ে উন্নত বিশ্বের ভূমিকাই মুখ্য। তবুও আমাদের মতো জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে অপেক্ষায় থাকতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্যতম শক্তিধর দেশের অবর্তমানে অন্য দেশগুলো জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে কতটুকু ভূমিকা ও অগ্রগতি রাখতে সমর্থ হয়েছে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা আর অপেক্ষা। লেখক : সাংবাদিক [email protected]
×