ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে হবে

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করতে হবে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের স্থায়ী সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। সোমবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার সরকার, এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানও তাদেরই করতে হবে। ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, সমাধানের পথ একটাই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নাগরিকত্ব দেওয়া এবং সেখানে তাদের বসবাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শিনজি কুবো উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে একসঙ্গে এত বেশি মানুষ নিজের দেশ থেকে পালিয়ে এসে শরণার্থী হয়ে অবস্থান করছে এখন কক্সবাজারেই। খুবই কম জায়গায় মাত্রারিক্ত মানুষ একসঙ্গে থাকার কারণে সেখানে সংক্রামক ব্যধি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার বড় ঝুঁকি রয়েছে। ফিলিপ্পো গ্রান্ডি জানান, তিনি কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পসহ ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন থেকে নতুন করে রোহিঙ্গারা যেখানে অবস্থান করছেন সেসব এলাকাও পরিদর্শন করেছেন। তিনি সেখানে দেখেছেন দুই পাহাড়ের মাঝখানে অত্যন্ত স্বল্প জায়গায় এবং সমুদ্রের কাছে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন যাদের মধ্যে বড় সংখ্যায় নারী ও শিশু রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই খুবই খারাপভাবে শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার, অনেকে মারাত্মক যৌন নির্যাতনের শিকার। ইউএনএইচসিআর সদর দফতরে পাঠানো সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২৫ আগস্টের পর কক্সবাজার এলাকায় প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এ মুহূর্তে বিশ্বে কক্সবাজারেই সবচেয়ে কম সময়ে বেশি শরণার্থী একসঙ্গে সমবেত হয়েছে। রাখাইনে সংঘাত দীর্ঘ হলে শরণার্থীর সংখ্যা দ্রুতই আরও বেড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, যত দ্রুত এ সমস্যার সমমাধান হবে, তত তাড়াতাড়ি কক্সবাজারে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন যাপন থেকে মুক্ত হবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে সমস্যার সমাধানের জন্য যে কথা বলেছেন তার সঙ্গে জাতিসংঘও একমত। সমস্যার সমাধান মিয়ানমার সরকারকেই করতে হবে।
×