ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাজশাহীতে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর পুঠিয়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া জরিমানা করা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। একই মামলায় অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের (২) বিচারক মনসুর আলম এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা করার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাজশাহী কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। দন্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জমনি গ্রামের ওহির উদ্দিনের ছেলে। একই মামলা থেকে বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুলের মা বিলাতুন নেসা ও বড় ভাই মফিজুল ইসলাম। এরমধ্যে গৃহবধূর শাশুড়ি বিলাতুন নেসা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। আর ভাসুর মফিজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, ২০০৭ সালের ১৬ মে সকাল ৭টার দিকে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ রিনা খাতুনকে তার স্বামী রফিকুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ইয়াসিন আলী মোল্লা বাদী হয়ে রিনার স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুরের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ঘটনার ছয় বছর আগে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার রামরামা গ্রামের মৃত আমির মোল্লার মেয়ে রিনা খাতুনের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই রফিকুল যৌতুকের দাবিতে রিনার ওপর অমানসিক নির্যাতন চালাতো। তাদের দাম্পত্য জীবনে চার সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু তিনজন মারা যাওয়ার পর এক ছেলে জন্ম হয়। হৃদয় নামের তার ওই ছেলে এখন মামাদের কাছে থাকে। অ্যাডভোকেট ইসমত আরা আরও জানান, এই মামলার তদন্ত শেষে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুঠিয়া থানা পুলিশ। পরে আদালতে মোট ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। যুক্তিতর্ক শেষে সোমবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
×