ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা সমস্যা এ অঞ্চলের স্থিতির জন্য বড় হুমকি

প্রকাশিত: ০৮:২৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা সমস্যা এ অঞ্চলের স্থিতির জন্য বড় হুমকি

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গা সঙ্কট শুধু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ™ি^পক্ষীয় সমস্যা নয়। এটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত ইস্যু। এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি। এ সমস্যার স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে স্বার্থান্বেষী মহল ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এর সুযোগ নিতে পারে। যা ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ মালয়েশিয়াসহ এ অঞ্চলের সব দেশের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে। রবিবার রোহিঙ্গা ইস্যু এবং মিয়ানমার-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেন্টার ফর সিকিউরিটি এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (সিএসডিএস) এই সেমিনারের আয়োজন করে। রাওয়া ক্লাবে এই সেমিনারে কূটনৈতিক, শিক্ষাবিদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও অবসরপ্রাপ্ত উপদেষ্টা সামরিক কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। সিএসডিএস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমসা আমিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সেমিনারে বক্তারা বলেন সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও এনজিওগুলোকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার হতে হবে। সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে হবে। মিয়ানমার যাতে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ পুনর্বাসনে রাজি হয় সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এ কাজে মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের উষ্ণ সম্পর্ককে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। প্রধান অতিথির প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্পর্ক অনেক পুরনো। রেঙ্গুন ও কলকাতার মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। ১৯৩৫ সালের পর থেকে বাংলার সঙ্গে রেঙ্গুনের সম্পর্ক কমতে থাকে। আমাদের অন্যতম নিকটতম প্রতিবেশী হলেও দেশটির সঙ্গে কখনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা হয়নি। মাঝে মাঝে আলোচন হলেও তা শুধু রোহিঙ্গা ইস্যুতে সীমাবদ্ধ থেকেছে। সেমিনারে মেজর জেনারেল (অব) অনুপ চাকমা রোহিঙ্গাদের নৃতাত্তিক বিকাশ সম্পর্কে ধারণা দেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা আরাকানে (রাখাইনে) দীর্ঘদিন থেকে বাস করছে তা মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের বক্তৃতায় স্পষ্ট হয়। রাখাইন রাজ্যের রেডিওতে রোহিঙ্গা সম্পর্কিত অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো। তিনি যখন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তখন সে দেশের একাধিক মন্ত্রী তাদের ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গা শব্দ ব্যবহার করেছেন।
×