স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মাতুয়াইলে রুহি করিম (৬) নামে স্কুলপড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর তার লাশ একটি টিনশেড বাড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
কদমতলী থানার ওসি এমএ জলিল জনকণ্ঠকে জানান, রবিবার বিকেলে মাতুয়াইল মা ও শিশু মাতৃসদন ইনস্টিটিউট সংলগ্ন শামীমবাগ চৌধুরী বাড়ির গলির ৩ নম্বর রোডের লিটনের বাড়ির টিনশেড রুম থেকে রুহির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে সন্ধ্যার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি জানান, রুহিকে ওই টিনশেড বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এরপর তার লাশ ওই বাড়ির জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে ঝুলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওসি জলিল। তিনি জানান, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। নিহতের বাবা মাতুয়াইল মাতৃসদন ইনস্টিটিউটের ক্যান্টিন ম্যানেজার রেজাউল করিম জনকণ্ঠকে জানান, মেয়ে রুহি বিএমএইচ স্কুলের প্লে গ্রুপে পড়াশোনা করে। এক মেয়ে এক ছেলের মধ্যে রুহি সবার বড়। মাতৃসদন হাসপাতালের সামনে শামীমবাগ চৌধুরী বাড়ির গলির ৩ নম্বর রোডের বাশার সাহেবের তিনতলা বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকেন। তিনি জানান, দুপুর ১২টার দিকে মেয়ে রুহি স্কুল শেষে বাসায় গিয়ে খাওয়া ধাওয়া শেষে নিচতলায় সহপাঠীদের সঙ্গে খেলতে যায়। আধাঘণ্টা পর মেয়ের মা নিচে গিয়ে দেখে রুহি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে আমাকে খবর দেয়। পরে বাসায় ছুটে গিয়ে শুনি বাড়ির পেছনে লিটন সাহেবের টিনশেড ঘরে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় লুঙ্গি পেঁচানো অবস্থায় মেয়ে রুহির লাশ ঝুলে আছে। খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে। রেজাউল করিম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার অবুঝ মেয়ে রুহিকে ওরা খুন করেছে। আমি এর বিচার চাই।
