ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ নীতি চূড়ান্ত হচ্ছে শিঘ্রই ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০২:৪৫, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ নীতি চূড়ান্ত হচ্ছে শিঘ্রই ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ অধিবেশন থেকে দেশে ফিরলেই স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। রবিবার দৈনিক সমকাল কার্যালয়ে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা ও সমকালের যৌথ উদ্যোগে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি চূড়ান্তকরণ: অগ্রগতি ও করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগেও তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন বাধা এসেছে, কিন্তু আমরা পিছপা হইনি। এই নীতি দুটি প্রণয়নে সময় বেশি লাগলেও এগুলো অতি দ্রুতই পাস করা হবে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে এলেই স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন ও অনুমোদনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) ও ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিজের সহায়তায় আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেছা বাপ্পীসহ তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহের প্রতিনিধি, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকবৃন্দ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। দৈনিক সমকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতিটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে আমার সর্বাত্মক সমর্থন থাকবে। তিনি আরো বলেন, এই সারচার্জের অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্যই আদায় করা হয়, সুতরাং এই অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণের কাজেই ব্যবহার করা হবে। অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেছা বাপ্পী এমপি তার বক্তব্যে নীতি দুটি অবিলম্বে পাস করার দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সমন্বিত ও পরিকল্পিত উপায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি শিরোনামে দুটি নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয় যেগুলো বর্তমানে খসড়া অবস্থায় রয়েছে। তবে প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতার কারণে অদ্যাবধি নীতিমালা দুটি চূড়ান্ত না হওয়ায় এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এদেশের জনগণ। এই প্রেক্ষাপটে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনের অংশ হিসেবে সরকার ইতিমধ্যে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এসডিজি’র স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গোল-এর টার্গেট ৩-এ তথা এফসিটিসি বাস্তবায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছে। সর্বশেষ ৩০-৩১ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’ শীর্ষক সাউথ এশিয়ান স্পিকার’স সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তামাককে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় একটি বাধা হিসেবে উল্লেখ করে আগামী ২০৪০ সালের পূর্বে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল অর্থাৎ ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
×