ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার শেখ হাসিনার প্রাপ্য: অনিল দাশ গুপ্ত

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

শান্তিতে  নোবেল পুরস্কার  শেখ হাসিনার প্রাপ্য: অনিল দাশ গুপ্ত

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ চ্যাম্পিয়ন অব হিউম্যান রাইটস সারা বিশ্বে মাদার অব পিস হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল দাশ গুপ্ত। রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আশ্রয় দেয়া এবং তাদের সমস্যা আজ বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার শেখ হাসিনারই প্রাপ্য বলে মনে করেন তিনি। জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রশংসা করে সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে সফলতার সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন তিনি। মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গা বিষয়ে বিমাতাসুলভ আচরনের কারনে আজ তারা নিজদেশে পরবাসী। আজ জাতিগত সহিংসতার কারনে পাচ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরনার্থী হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা দিয়েছেন। মিয়ানমার সরকারকে মনে রাখতে হবে সকল শরণার্থী রোহিঙ্গাকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য শেখ হাসিনা কুটনৈতিক প্রচেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছেন। জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে উনার বক্তব্য এটাই প্রমান করে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে মিয়ানমারের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য পাঁচটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন। সেগুলো হলো: প্রথমত, অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করা; দ্বিতীয়ত, অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল প্রেরণ করা; তৃতীয়ত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা; চতুর্থত, রাখাইন রাজ্য হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত সকল রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; পঞ্চমত, কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। পাশাপাশি জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় উনার জিরো টলারেন্স অবস্থান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম, বর্ণ বা গোত্র নেই। নিজে বেশ কয়েকবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছি। সে হিসেবে সন্ত্রাসের শিকার মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। ধর্মের নামে যেকোনো সহিংস জঙ্গিবাদের নিন্দা জানিয়ে তিনি সহিংস জঙ্গিবাদ বিস্তার রোধে তৃণমূল পর্যায়ে আমরা পরিবার, নারী, যুবসমাজ, গণমাধ্যম এবং ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করেছি। বৈশ্বিক এ সমস্যা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাব হচ্ছে। ১. সন্ত্রাসীদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে; ২. সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে এবং ৩. শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্তর্জাতিক বিবাদ মীমাংসা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না তখন শান্তিতে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার একমাত্র দাবীদার বলে মনে করেন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক।
×