ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টেলিযোগাযোগ সুবিধা

প্রকাশিত: ২২:৫১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টেলিযোগাযোগ সুবিধা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আগামী তিন দিনের মধ্যে টেলিযোগযোগ সুবিধা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আগামী তিন দিনের মধ্যে টেলিটকের ২-জি নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।’ শনিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তারানা হালিম। রোহিঙ্গাদের কাছে মোবাইল সিম বিক্রি নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিংসংক্রান্ত সভা শেষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে টেলিটকের বুথ খোলা হচ্ছে। সেখানে ১৬/১৭টি কেন্দ্র খোলা হবে। ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প বাড়লে সে অনুযায়ী বুথও বাড়ানো হবে। সেখানে রোহিঙ্গারা এসে ন্যূনতম চার্জে তাদের প্রয়োজনমতো লোকাল কল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কাছে যারা সিম বিক্রি করছে তাদের শনাক্ত করবে বিটিআরসি। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।’ তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা শরণার্থীদের জন্য মানবিক। তাদের খাদ্য, স্বাস্থ্য নিয়ে আন্তরিক। তাদের যোগাযোগের বিষয় নিয়ে আমরাও আন্তরিক। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি সিম ব্যবহার করছে, সম্প্রতি এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। মূলত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, সিম বিক্রেতা নিজের নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম কিনে রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করছে। কিন্তু নিজের নামে কেনা সিম রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করা অপরাধ। যাদের বায়োমেট্রিক করা সিম রোহিঙ্গাদের হাতে গেছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অথবা যদি কোনো অপারেটর বা ব্যবসায়ী এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে সে বিষয়েও তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে এজন্য আমরা কঠোর হবো। মোবাইল অপারেটরদের টাওয়ারভিত্তিক ১ জুলাইয়ের পর সেই এলাকায় কোন কোন সিম সচল হয়েছে তা শনাক্ত করা হচ্ছে। বিক্রেতাদের তালিকাও আমাদের কাছে আছে।’ রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রি প্রসঙ্গে তারানা হালিম বলেন, ‘যেসব রোহিঙ্গা নিবন্ধনের আওতায় আসছে তাদের কাছে সিম বিক্রি করা যাবে কি না, সেটি পরবর্তীকালে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর নির্ধারণ করা হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হকসহ পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
×